প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সখিপুরে ৫ মাস৩দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর হানিফ এর থেকে লাশ উদ্ধার

মোঃ হাসান আলী, স্টাফ রিপোর্টার

টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খানপাড়া এলাকার অটোচালক ও রাজমিস্ত্রি হানিফ মিয়া হত্যার পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুমন ও থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে এ কাজ সম্পন্ন হয়।
গত ৫ এপ্রিল রাতে সখীপুর পৌর শহরের তালতলা চত্বর থেকে যাত্রীবেশে তিনজন সন্ত্রাসী হানিফের অটোরিকশা রিজার্ভ করে নলুয়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এক কিলোমিটার দূরে আড়ালিয়া চালা এলাকায় পৌঁছালে তারা হানিফকে এলোপাতাড়ি মারধর করে অচেতন অবস্থায় ফেলে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রায় ২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর আশঙ্কা জানালে ২২ এপ্রিল তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। একই রাতে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর অটোরিকশাটি ঘটনাস্থল থেকে অল্প দূরেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে হত্যার ইঙ্গিত দেয়।

মৃত্যুর পর স্থানীয়দের প্ররোচনায় হানিফের স্ত্রী লাভলী আক্তার প্রথমে ময়নাতদন্তে রাজি হননি। পরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসে ভিডিও সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার  নির্দেশ দেন।

সখীপুর থানার ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, “আদালতের নির্দেশে এফআইআর করা হয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”

হানিফ হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার দ্রুত তদন্ত ও আসামি গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়