
প্রবীর কুমার তালুকদার সুজিৎ, বিশেষ প্রতিবেদক
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার হার্ট কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পুর্বকান্দি গ্রামে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ২০২৫ ইং আনুমানিক বিকাল ৪.৩০ টার সময় মোতালেব মুন্সির (স্বপ্নবিলাস) নামের বাড়িতে এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন তদন্তে গিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার ১০ নং কৈজুরী ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের রমজান খানের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২৪) এর সঙ্গে বিগত ৬ বছর পূর্বে, পূর্ব-কান্দি গ্রামের মোতালেব মুন্সির বড় ছেলে রমজান মুন্সির সঙ্গে মূসলিম সরিয়ত মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এক বছর পরে তাদের কোলজুড়ে হুজাইফা নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সুমাইয়ার বাবা মেয়ের বিয়ের সময় ৫ থেকে-৭ ভরি স্বর্ণ ও ২ লক্ষ টাকার ফার্নিচার জামাইয়ের বাবা মোতালেবের হাতে তুলে দেন।
বিবাহের প্রথম এক-দেড় বছর তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল, তারপর থেকে সুমাইয়াকে যৌতুকের জন্য নানান ভাবে বিভিন্ন সময় চাপ দিতে থাকে স্বামীর পরিবারের সকলে মিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এরপর গত শুক্রবার বিকালে সুমাইয়ার স্বামী রমজান বাড়ি না থাকায় সুমাইয়ার দেবর সোহাগ মুন্সি, তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার, শশুর মোতালেব মুন্সি, শাশুড়ি নার্গিস বেগম, বড় ননদ মিরা বেগম, ছোট ননদ সীমা বেগম, এদের মধ্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সোহাগ সুমাইয়া ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকার কারনে পেটে আঘাত করলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে তার ছেলে হুজাইফা দেখে ফেলে এবং বলে আমি বলে দিব তারপর ওরা কয়েকজনে মিলে ওর মুখ বন্ধকরে ওদের বসত বাড়ির দুই তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর নিচ তলায় একটি কক্ষে নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় হাস, মুরগির, মতো জবাই করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে, ফরিদপুর ৫০০ সজ্জা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত্যু ঘোষনা করে ময়না-তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এই কথাগুলো জানাজায় সোমাইয়ার বাবা রমজান খাঁন,মা সাবিনা বেগম, ছোট বোন,মিমি আক্তার ,আত্নীয় - স্বজন ও এলাকাবাসীদেরকাছ থেকে।অপরাধী শশুর মোতালেব মুন্সি নিজেদেরকে বাঁচাতে তিনি থানায় গিয়ে জানিয়েছেন সুমাইয়া তার ছেলে হুজাইফা কে জবাই করে নিজে অন্যঘরে গিয়ে গলায় রসিনিয়ে আত্মহত্যা করেছে।বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মৃত সোমাইয়া সহ গংদের আসামি করে, মামলা নং ১১-৯-২৫ সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,ওসি সুখ দেব রায়,জানান তদন্ত চলমান , থানার সেকেন্ড অফিসার সাব-ইনেসপেক্টর মোখলেসুর রহমান জানান মামলা হয়েছে মামলার আইও এস আই আলমঙ্গীর হোসেন ,বাচ্চার বাবা রমজান মুন্সিকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে ,উক্ত ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা বিধায় আমাদের উদ্ধ-তন কতৃপক্ষ সহ ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচনের জন্য তদন্ত অব্যাহত আছে । এলাকাবাসী অন্তর্বর্তী কালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে এই হত্যাকারীদের বিরূদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত পুলিশের আশু-হস্তক্ষেপ বিচার কামনা করছেন বলে জানায়।