প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকার ধামরাইয়ে ছিনতাইয়ের ত্রিভুজ চক্রের রহস্য উদ্ঘাটন দুই জন গ্রেফতার

মোঃ রিপন হাওলাদার:

অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যা ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের দুই বছর পুরনো রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা। এ ঘটনায় জড়িত সদর আলী ও আলমগীর নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর সকালে ধামরাইয়ের বাইশাকান্দার কেষ্টখালী গ্রামের ধানক্ষেতে এক অজ্ঞাত পুরুষের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সনাক্তে জানা যায়, নিহতের নাম সায়েদুর রহমান; তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হলে তদন্তভার পিবিআইয়ের কাছে ন্যস্ত হয়।

তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, আসামি সদর আলী ও আলমগীর একই বাসায় ভাড়া থাকতো। তাদের সহবাসী আরেক যুবক জুয়েলের সাথে সদর আলীর স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে জুয়েল, আলমগীরের সহায়তায় সদর আলীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে সদর আলী ও আলমগীরও ভিকটিম সায়েদুরের স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে চেষ্টা করে।

পরে অর্থ সংকটে তারা পরিকল্পনা করে সায়েদুরের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের। পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েদুরকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে ধামরাইয়ের নির্জন স্থানে গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে, রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এরপর তার অটোরিকশা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।

পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কুদরত-ই-খুদা, পিপিএম-সেবা বলেন,
তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। নগদ টাকার প্রয়োজনে পরিকল্পিতভাবে তারা ভিকটিমকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রি করেছে। আমরা সর্বদা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পিবিআই জানিয়েছে, আসামিদের স্বীকারোক্তি ও তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডে জুয়েলেরও সম্পৃক্ততা আছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়