
কাতিক ঘোষ ধামরাই (ঢাকা)
ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যতম সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা ফয়সাল উদ্দিন হাশমি হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ধামরাই থানা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধামরাই উপজেলা চত্ত্বরে দলীয় নেতাকর্মীরা এ মানববন্ধন করেন।
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম বারবার এই মামলার তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ সাত বছরেও হাশমি হত্যার বিচার মেলেনি। ২০১৮ সালে ঢাকা জেলা যুবলীগের সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হাশমিকে। হাশমির মা বারবার আদালতের আঙ্গিনায় গিয়েও কোন বিচার পায়নি। এখন যদি হাশমি হত্যার বিচার না হয় তাহলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
নিহত হাশমির মা বলেন, ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট আমার ছেলেরে বাড়ি থিকা ডাইকা নিয়া ছুরি দিয়া কুপাইয়া মারে ওই শহুরা। আমি বাইচা থাকতে জানি ওই খুনীগো বিচার দেইখা যাইতে পারি। সাত বছর ধইরা আদালতে আর থানায় ঘুরতাছি। আমার পোলাডার বিচারের লাইগা পুরা ঢাকা জেলা ঘুরতাছি আমি কি আমার পোলার খুনীদের বিচার কি দেইখ্যা যাইতে পারুম না বলেই সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নিহত হাশমির বাবা বলেন, আওয়ামী লীগের যুবলীগের লোকেরা আমার ছেলেরে খুন করছে ২০১৮ সালে। ঢাকা জেলা যুবলীগের নেতা শহিদুল ইসলাম আমার ছেলেরে মারছে। সাত বছরে বিচার পাই নাই। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন আপনার সুষ্ঠু বিচার করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ফিরোজ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুম আহমেদ, সদস্য সচিব রাশেদুল ইসলাম রাজুসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, মামলা সুত্রে জানা যায় ২০১৮ সালে ১৩ আগস্ট আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা যুবলীগের সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহু এর নেতৃত্বে শ্রীরামপুর গ্রাফিক্স টেক্সটাইলের সামনে ফয়সাল উদ্দিন হাশমির উপর একদল সন্ত্রাসী হামলা করে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় হাশমি জীবন রক্ষার্থে পালাতে দৌড় দিলে পুকুরে পরে যায় এবং তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।