
এনামুল হক আরিফ
ব্যুরো চিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সংসদীয় আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার দুটি ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করায় ভয়ংকর রূপে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় জনগণ । রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় শত শত জনতা চান্দুরা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অচল করে অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।এতে করে দূর দূরান্তের যাত্রীগণের অসম্ভব ক্ষতি হচ্ছে।
বিজয়নগরের একাধিক ব্যক্তি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর, চান্দুরা ও বুধন্তী ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে প্রথমের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বিজয়নগর, বুধন্তি, ও চান্দুরার সর্বস্তরের জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে । এই বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনে শুনানির সময় বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা গ্রুপ ও এনসিপি নেতা মো. আতাউল্লাহর মাঝে প্রথমে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে বলে যানান । পরবর্তীতে গত ৪ সেপ্টেম্বর হরষপুর ছাড়া চান্দুরা ও বুধন্তী ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এই খবর শোনার পর থেকে বিজয়নগর উপজেলাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তি বলেন। স্বাধীনতার পর থেকে তিতাস পূর্বাঞ্চলের ১০টি ইউনিয়নকে বিভিন্নভাবে অবহেলিত করে রাখা হয়। এখনো বিজয়নগর উপজেলাকে অবহেলিত এবং দ্বিখণ্ডিত করার মাধ্যমে বিজয়নগরবাসীর ইমোশন নিয়ে এবং এলাকার উন্নতি ব্যাহত করার পাঁয়তারা করা যাচ্ছে একটি দালাল চক্র । এমন জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজয়নগর উপজেলাবাসী ঐক্যবদ্ধ আছে থাকবে। বিজয়নগর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ দ্বিখণ্ডিত করার ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত পূর্বের সংসদীয় আসন ব্রাহ্মণবাড়িযা-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বহাল রাখার দাবি জানান।
বিজয়নগর সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ইমাম হোসেন বলেন, বিজয়নগরকে ছোট করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নের স্থানীয় জনগণ । একই সঙ্গে উন্নয়ন থেকেও বঞ্চিত হবেন এখানকার মানুষ। তিনি এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে ইউনিয়ন দুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে পুনর্বহালের দাবি জানান।
এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন