প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

র‍্যাবের হাত থেকে ডাকাত সর্দারকে বাঁচাতে হারুন-জুম্মন-চঞ্চল-ফয়েজ গ্যাংয়ের গোপন মিশন

দোলা দেওয়ান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সংঘটিত এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক ও ক্ষোভ। কুখ্যাত ডাকাত সর্দার সাহেব আলীকে র‍্যাবের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র গোপন মিশন চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর ভাষায়, এটি শুধু একটি অপরাধ নয়, বরং প্রশাসনের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ।

--অভিযানের আগেই ছক কষা--
সূত্র জানায়, র‍্যাব যখন ডাকাত সর্দার সাহেব আলীকে ধরতে মাঠে নামে, তার আগেই চারজনের একটি চক্র পরিকল্পনা সাজায়। এ চক্রের নেতৃত্বে ছিল হারুন, যার সঙ্গে যুক্ত ছিল জুম্মন, চঞ্চল ও ফয়েজ। অভিযোগ রয়েছে, হারুন নিজেই ফোন করে সাহেব আলীকে তার অফিসে ডেকে আনে। উদ্দেশ্য ছিল র‍্যাবের গতিবিধি বোঝা ও সাহেব আলীকে পালানোর সুযোগ করে দেওয়া।

--কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ--
তদন্ত সূত্রে আরও জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে হারুন নিয়মিতভাবে সাহেব আলীর কাছ থেকে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির কমিশন আদায় করে আসছে। এলাকাবাসীর মতে, এভাবে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যা সাহেব আলীকে বারবার প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।

--এলাকাবাসীর দাবি--
স্থানীয়দের মতে, এ চক্রকে গ্রেফতার না করলে সাহেব আলীকে ধরা সম্ভব নয়। তাদের দাবি, হারুন, জুম্মন, চঞ্চল ও ফয়েজকে দ্রুত গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তাদের ফোন কল রেকর্ড ও ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখতে হবে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় যারা এ চক্রকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। সাহেব আলীসহ পুরো ডাকাত সিন্ডিকেটকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

--প্রশাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ--
এলাকাবাসী বলছে, সাহেব আলীকে রক্ষা করার এই প্রচেষ্টা শুধু একটি অপরাধ নয়—এটি আইন-শৃঙ্খলার প্রতি সরাসরি আঘাত। প্রশাসন যদি দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এ চক্র আরও সাহসী হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে আরও ভয়ংকর অপরাধ সংঘটিত করতে পারে।

--বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য--
সিদ্ধিরগঞ্জের এই ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য বড় সতর্ক সংকেত। একদিকে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার, অন্যদিকে কমিশন বাণিজ্যে জড়িত স্থানীয় চক্র—এদের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান চালানো জরুরি। নইলে সাহেব আলীর মতো অপরাধীরা বারবার প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে পালাবে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকবে।

শেষকথা, “টক অফ দা সিদ্ধিরগঞ্জ” এখন কেবল একটি আলোচনার বিষয় নয়—এটি প্রশাসনের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ, যার জবাব দিতে হবে শক্ত হাতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়