
ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে প্রথমবারের মতো কালচারাল সোসাইটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শাম্মী আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইংরেজি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের সুরাইয়া ইয়াসমিন শোভা। মঙ্গলবার খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— সহ-সভাপতি লুবাবা আনজুম ঐশী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুহানি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আরেফিন অথি, কোষাধ্যক্ষ মুমতাহিনা রিনি ও দপ্তর সম্পাদক আকলিমা আক্তার মোহনা। এছাড়া ক্রীড়া সম্পাদক ইফফাত আরা বৃষ্টি, প্রচার সম্পাদক পূজা দত্ত, প্রযুক্তি সম্পাদক রিদুয়ানা রহমান, সম্পাদনা প্রধান খুশি, সাজসজ্জা সম্পাদক সাদিয়া ইসলাম মৌ, সহ-সাজসজ্জা সম্পাদক দ্রুতি চট্টোপাধ্যায়, স্বেচ্ছাসেবক প্রধান মারুফা ইয়াসমিন মৌশি ও সহ-স্বেচ্ছাসেবক প্রধান সুমাইয়া।
কমিটিতে ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মহিমা বিশ্বাস, স্বপ্না রাণী মন্ডল, তাসফিয়া সানজিদা, ফারিয়া খান্দাকার, ইসরাত জাহান এশা ও সাদিয়া আফরিন মৌ।
নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া ইয়াসমিন শোভা বলেন, হলের কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। এই দায়িত্ব শুধু একটি পদ নয়, এটি একটি সুযোগ হলের সংস্কৃতির চর্চা, ঐতিহ্য এবং সৃজনশীলতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
সভাপতি শাম্মী আক্তার বলেন, খালেদা জিয়া হল কালচারাল সোসাইটি শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ ও সাংস্কৃতিক চর্চার একটি মুক্ত মঞ্চ। সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে যে দায়িত্ব সবাই আমাকে দিয়েছে তা রক্ষা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ‘সংস্কৃতিই পারে তরুণদের হৃদয়ে মানবিকতা, ঐক্য ও উদারতার বীজ বপণ করতে’ এ বিশ্বাস নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া হল কালচারাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল মনন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এর মূল লক্ষ্য হলো— শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ, সংস্কৃতির সৌন্দর্যকে ধারণ করা এবং একটি প্রগতিশীল, মানবিক সমাজ গঠনে অবদান রাখা। সোসাইটির নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— নাটক, গান, নৃত্য, কবিতা পাঠ, বিতর্ক, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাহিত্য আসর ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন। এছাড়াও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার, কর্মশালা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে থাকে। এটি শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি হলের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য সৃজনশীলতা প্রকাশের একটি মুক্ত মঞ্চ। আমরা বিশ্বাস করি— সংস্কৃতিই পারে তরুণদের হৃদয়ে মানবিক মূল্যবোধ, ঐক্য এবং উদারতার বীজ বপন করতে।