
মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ সুমন আহম্মেদ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিএনপির ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিউটি অফিসার ও এক নারী কনস্টেবলকে হেনস্তার অভিযোগে।
০৩/১০/২০২৫ শুক্রবার ঘিওর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মীর কাউসার ও মো. সেলিম মিয়াসহ ২০-৩০ জন বিএনপি নেতা-কর্মী ঘিওর সদরে আসেন। ভিড়ের কারণে পার্কিং সংকট দেখা দিলে তাঁরা ঘিওর থানার পাশে মোটরসাইকেল রাখার চেষ্টা করেন।
এ সময় দায়িত্বে থাকা নারী কনস্টেবল তাঁদের বাধা দেন। তখন মীর কাউসার তাঁকে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ উঠে। এরপর ডিউটি অফিসার এএসআই রফিকুল ইসলাম এসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলে তিনিও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের শিকার হন।
এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্বে ছিলাম। হঠাৎ করে অনেকে থানার ভেতরে ঢুকতে চাইলে আমি নিষেধ করি। তখন তাঁরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন।
তবে ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু।
তিনি বলেন, আমরা পূজার মেলায় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। আমার গাড়ি বাইরে ছিল, থানার ভেতরে যাইনি। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হয়তো পুলিশের কথা-কাটাকাটি হয়েছে, তবে হেনস্তার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে।
ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার দাবি করেন, এসআই মাসুদ রানা আমাদের থানায় বাইক রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু এএসআই রফিকুল হঠাৎ বাধা দেন এবং দুর্ব্যবহার করেন।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) সাদিয়া সাবরিনা চৌধুরী বলেন, এ বিষয় নিয়ে সত্যতা মিল পাওয়ার কারণে নয় জনের নামে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন…
১/ খন্দকার বিল্টু,
২/ জি এস সেলিম,
৩/ উজ্জল,
৪/ মীর কাউসার,
৫/ হারেজ,
৬/ রফিকুল ইসলাম পিন্টু,
৭/ রাজু,
৮/ সামিউল আলম বিল্টু,
৯/ শহিদুল ইসলাম।
তাঁরা সবাই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর অনুসারী এবং ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের পদধারী নেতা ও সক্রিয় কর্মী।