
মো: দেলোয়ার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ঘুষ বাণিজ্য চলে অন্দরমহলে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তদন্ত চায় ইউনিয়নবাসী। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নজরে না আসায়, তদন্তে ধীর গতি হচ্ছে, মনে করছেন সচেতন মহল। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়,বাষ্টিয়া গ্রামের মৃত কানাই মিয়ার পুত্র,৮০ বছরের বৃদ্ধ কৃষক মনির উদ্দিন মিয়া ভালকুটিয়া এবং বাষ্টিয়া মৌজার প্রায় দুইশ শতাংশ জমির তিনটি খারিজের প্রস্তাবের জন্য বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে, ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব)মো: লুৎফর রহমান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অন্দরমহলে নিয়ে গিয়ে, ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন, ৫০০০০ টাকা ঘুষ না দিলে, খারিজের প্রস্তাব পাঠাবেন না , সাফকথা জানিয়ে দেন। ভুক্তভোগী মনির উদ্দিন মিয়া নিরুপায় হয়ে ৩০ হাজার টাকা দিতে চান, কিন্তু নায়েব মো: লুৎফর রহমান কে ৫০ হাজার টাকা না দিলে, খারিজের প্রস্তাব পাঠাবেন না। যার ফলে এখন পর্যন্ত খারিজ করতে পারিনি। এদিকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অন্দরমহলে নিয়ে গিয়ে, একই গ্রামের মোঃ খৈমুদ্দিনের পুত্র কৃষক মো: দুধুমিয়ার নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে খারিজের প্রস্তাব পাঠিয়ে খারিজের ব্যবস্থা করে দেন।ভুক্তভোগী আশি বছরের বৃদ্ধ কৃষক সরকারি খরচে খারিজ করতে সাংবাদিকের নিকট অনুরোধ করেন।অপরদিকে ভুক্তভোগী মো: দুধুমিয়ার একটি খারিজের সরকারি খরচ ১১০০ টাকা রেখে, প্রায় ১৯ হাজার টাকা ফেরত চান। অত্র ইউনিয়নের আরেক ভুক্তভোগী কুদ্দুসের দশ শতাংশ জমি খারিজ করতে গিয়ে, মো লুৎফর রহমান ৮ হাজার টাকা ঘুষ হাতিয়ে নেন। কিন্তু নায়েব মো: লুৎফর রহমান সাংবাদিক কে বলেন, ভুক্তভোগী কুদ্দুস একজন পাগল। ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও) এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিক কে বলেন নায়েব মো: লুৎফর রহমান একজন ভুক্তভোগীকে অফিসে নিয়ে আসছিলেন, ভুক্তভোগী অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেছেন, একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের সংবাদ হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান , লিখিত অভিযোগ দিন।