প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

এস এম বাদল, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (জাগফ) কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় কুষ্টিয়া বাবর আলী গেটস্থ জেলা কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানার মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। জেলা সভাপতি মোকতারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাহজাহান কবির, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সোলায়মান পারভেজ, সদস্য আসাদুল ইসলাম, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা সভাপতি রমজান বিশ্বাস এবং জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক অমানত প্রমুখ। কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সাহজাহান কবির বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদীদের মদতপুষ্ট ইসরাইল প্রায় দুই বছর ধরে হামাস নির্মূলের নামে ফিলিস্তিনে আগ্রাসন ও গণহত্যা চালালেও তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর দমন-পীড়ন, অবরোধ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। তথাকথিত হামাস নির্মূলের নামে নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সংগত মুক্তির আন্দোলন দমন করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র ভেস্তে যাচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক মহলকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি ঐক্যবদ্ধ সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান। জেলা সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক বলেন, গণহত্যা চালিয়েও ইসরাইল ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ ভাঙতে পারবে না। গাজাকে প্রমোদনগরীতে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়ে ইসরাইল এখন লেবানন, সিরিয়া ও গোলান মালভূমিতে হামলা চালাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিপুল সংখ্যক দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে সমর্থন দিলেও ইসরাইল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে—‘প্যালেস্টাইনের নামে কোনো রাষ্ট্র হবে না।’ অথচ জাতিসংঘ স্বাধীনতাকামী হামাসের লড়াইকে স্বীকৃতি না দিয়ে উল্টো তাদের অস্বীকার করছে, যা দ্বিচারিতার শামিল। জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সোলায়মান পারভেজ সরকারের নানা ব্যর্থতার দিক তুলে ধরে বলেন, দেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি, বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা সরকারের ব্যর্থতার স্পষ্ট প্রমাণ। বিশেষ করে তিনি চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তার অভিযোগ, এ ধরনের সিদ্ধান্ত জাতীয় অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর এবং বহিরাগত স্বার্থগোষ্ঠীকে সুযোগ করে দেবে। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি প্রধান ভিত্তি। এটিকে ইজারা দেওয়ার চেষ্টা হলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং জাতীয় অর্থনীতির ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দেন—সরকার যদি এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রসর হয় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সমাবেশে বক্তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়