
মোঃ রিপন হাওলাদার:
বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পকে আরও আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী “২৪তম টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশন্স ২০২৫”।
সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ ও এশিয়া প্যাসিফিকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে একসাথে স্থান পেয়েছে
২৫তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো,২৯তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিক শো ২০২৫ (সামার এডিশন) এবং ৪৮তম ডাই-কেম বাংলাদেশ ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো।
বুধবার ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সেমস-গ্লোবাল,ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড.মোখলেস উর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মো. শহিদুল ইসলাম,মহাপরিচালক, বস্ত্র অধিদপ্তর
মো.সাইফুল ইসলাম চেয়ারম্যান বিসিক, বেবী রানি কর্মকার মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, মো.মুজিব-উল-ফেরদৌস মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব), বিডা,মো. শামসুজ্জামান সিআইপি ও সহ-সভাপতি, বিকেএমইএ,
মিজানুর রহমান সহ-সভাপতি (ফাইন্যান্স) বিজিএমইএ।এসময় অতিথিগণ প্রদর্শনী নিয়ে তাদের বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্য পর্ব শেষে অতিথিদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এবারের প্রদর্শনীতে বিশ্বের ৩০টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৯৭৫টিরও বেশি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। ২২০০-এর বেশি বুথে তারা প্রদর্শন করছে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল মেশিনারি, ইয়ার্ন, ফেব্রিকস, ট্রিমস, অ্যাকসেসরিজ, ডাইস্টাফ,কেমিক্যালস এবং নিত্যনতুন প্রযুক্তি।
সেমস-গ্লোবালের টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশন ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই প্রদর্শনী ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশের শিল্পকে বিশ্ববাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
আয়োজকদের মতে, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজনেস-টু-বিজনেস (বি-টু-বি) প্ল্যাটফর্ম, যেখানে এক ছাদের নিচে ক্রেতা ও সরবরাহকারীরা ব্যবসার প্রসারে একত্রিত হচ্ছেন।
প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সেমিনারেও অংশ নিতে পারবেন শিল্প-সংশ্লিষ্টরা এমনটি জানানো হয়।
আয়োজকরা আশা করছেন, এ প্রদর্শনী বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতকে আরও আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তিনির্ভর রূপান্তরে সহায়ক হবে।
উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিগণ প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
সরে/আর/এইচ