সাইদুল ইসলাম : রাজধানীর উত্তরায় সড়কে চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে রাসেল মন্ডলসহ তার দশ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশের উপ পরিদর্শক(এসআই) নুরুল হক আজ (সোমবার) বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন (মামলা নম্বর ১)।
মামলার অপর আসামীরা হচ্ছেন মিরাজ শেখ (৪৯), বাবুল হোসাইন বাবু (৩৫), হৃদয় (৩৪), সাকিব (২৯), ইউসুফ (২৯), মোস্তফা, সজিব (১৬), সোহাগ (৩৫), মাসুদ (২৫)।
রবিবার দিবাগত রাতে (৩১ মার্চ) চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে উত্তরা পূর্ব থানা কৃষক লীগের কথিত সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুরের সদর উপজেলার বাদাতেঘরিয়া এলাকার মো. ইসরাফিলের ছেলে রাসেল মন্ডল, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার এখলাসপুর গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে মো. সজীব, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শায়েস্তা নগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সোহাগ এবং কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে মাসুদকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
রাসেল মন্ডল তুরাগের ধলিপাড়ায়, সজীব দক্ষিণখানের ফরিদ মার্কেট, সোহাগ ও মাসুদ দক্ষিণখানের মুক্তিযোদ্ধা রোডে বসবাস করেন।
মামলার প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করছেন, সড়কের বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট থেকে আসামীরা দৈনিক ২’শ থেকে ৪’শত টাকা চাঁদা উঠিয়ে থাকেন। কোন হকার বা ভ্রাম্যমাণ দোকানি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই আসামীরা তাদের দোকানপাট উল্টে ফেলে এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আটকের সময় আসামীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদার টাকা উদ্ধার করা হয় এবং মামলার প্রধান কৃষকলীগের কথিত নেতা রাসেল মন্ডল চাঁদাবাজদের গডফাদার।
মামলার এজাহারে উত্তরা পশ্চিম ও দক্ষিণখান থানায় রাসেলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনসহ দুইটি পৃথক মামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করে জানাযায়, কথিত এই নেতার ঘনিষ্ঠ সহচর দক্ষিণখান থানার তালিকাভুক্ত অস্ত্র মামলার আসামী ঠোঁটকাটা আলতাফ হোসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দক্ষিণখানের গোয়ালটেক, রাজবাড়ী, ফায়দবাদ এলাকায় বসবাসরত উঠতি বয়সের বখে যাওয়া কিশোরদের দিয়ে আলতাফ দীর্ঘদিন যাবত একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ (কিশোর গ্যাং) পরিচালনা করে আসছেন।
অভিযোগ আছে, রাসেল মন্ডল ওরফে মাখন কিশোর গ্যাং গ্রুপের অর্থের যোগান দিয়ে থাকেন।সেই সাথে উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরকে কমান্ডো স্টাইলে কিশোর গ্যাং গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটিয়ে সাধারণ হকারদের মাঝে ভীতি তৈরি করে রেখেছেন।
সূত্র বলছে, প্রধান সড়কে মোবাইল— টাকা পয়সা ছিনতাই এবং মারপিট ও অপহরণের দায়িত্বে আছেন ঠোঁটকাটা আলতাফ।
অন্যদিকে উত্তরা বিভাগের ভ্রাম্যমাণ হকারদের থেকে টাকা পয়সা উঠানোর দায়িত্বে আছেন রাসেল মন্ডল ওরফে মাখন, বিএনপি নেতা নোয়াখাইল্যা নবী; চাঁদপুরের মোটা দুলাল ও আতিক। এই চারজনের সিন্ডিকেট প্রায় ২০ বছর ধরে উত্তরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন।
ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাযায় , প্রতিদিনের কালেকশনের টাকা প্রতিদিনই বুঝিয়ে দিতে হয় গডফাদার রাসেল, আতিক, নবী ও দুলালের কাছে। পরবর্তীতে গডফাদাররা তাদের উপরের গডফাদারকে চাঁদাবাজির টাকার অর্ধেক পৌঁছে দিয়ে থাকেন।
তাদের দাবি, অভিযানে রাসেল মন্ডলসহ তার চার সহযোগী আটক হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ার সুযোগ নেই। আজও রাসেলের লোকজন সকাল থেকেই টাকা তুলে নিচ্ছেন।
অভিযোগ আছে, রাসেল মন্ডল ওরফে মাখনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের পিছনে স্থানীয় এক কমিশনারের মদদ রয়েছে। রাসেলের চাঁবাবাজির ভাগ পেয়ে থাকেন ঐ কমিশনার ও তার ক্যাডার বাহিনী।
[ ] মামলা হামলা হত্যা
উত্তরার বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাতে চাঁদাবাজি— ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে লুটপাট; ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হত্যা চেষ্টার ঘটনায়’ ঠোঁটকাটা আলতাফ বাহিনীর প্রধান সহযোগী উজ্জল মিয়াসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আদালতে অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী, (সি আর মামলা নম্বর ০২)। মামলার অপর দুই আসামি হলেন নাহিদ হাসান ইউসুফ ও মিলন ওরফে নীল মিয়া।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী অভিযোগটি আমলে নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানাকে অভিযোগ গ্রহণের নির্দেশ প্রধান করেন। উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো.আবুল হোসেন শনিবার (২৩ মার্চ) আদালতের নির্দেশে থানায় মামলাটি নথি ভুক্ত করেন, (মামলা নম্বর ৩৭)।
অভিযোগ থেকে জানাযায়, হত্যার উদ্দেশ্যে উজ্জল মিয়া ও তার দুই সহযোগী (৩৩), মিলন ওরফে নীল মিয়া (৩৫), নাহিদ হাসান ইউসুফ (৩২) জোরপূর্বক কাপড় বিক্রেতা সুমন আলীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা সুমনকে উদ্ধার করে স্থানীয় টঙ্গী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মামলার সাক্ষীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, উত্তরার মাসকাট প্লাজা সংলগ্ন সড়কে গার্মেন্টস পণ্য বিক্রি করতেন সুমন।
গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং সদস্যরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে।
অপহরণে পর মামলার দুই নম্বর আসামী সেক্টর ৭ এর ৩৪ নং সড়কে অবস্থিত ১৬ নম্বর প্লটে নিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে স্টিলের রড দিয়ে উপর্যুপরি আগাত করে। প্লটটি আসামীদের টর্চার সেল হিসাবে পরিচিত।
হকারদের দাবি, নিয়মিত দোকানপাট থেকে পুলিশের নাম করে চাঁদা তুলেন আসামীরা। কোনদিন টাকা দিতে সময় ক্ষেপণ করলেই অত্যাচার শুরু করেন। দোকানপাট তুলে নিয়ে যায়। থানা পুলিশের প্রায় সবাই তাদের নির্যাতন সম্পর্কে অবগত আছেন।
মামলার বাদী সুমন জানান, তারাবী চলাকালীন সময় উত্তরার ফুটপাত নিয়ন্ত্রণকারী কিশোর গ্যাং লিডার গোয়ালটেকের মিলন ওরফে নীল মিয়া(৩৫), রাজাবাড়ি এলাকার উজ্জল মিয়া(৩৩) এবং নাহিদ হাসান ইউসুফ (৩২) এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে আমাকে অপহরণ করেন। এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে কিল-ঘুষি ও স্টিলের লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন।
হকারদের অভিযোগ , আসামীরা সবাই উত্তরা এলাকায় আলতাফ এবং রাসেল মন্ডলের নিয়ন্ত্রণে থেকে চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছেন। বিভিন্ন সময় থানায় অভিযোগ বা মামলা হরেও থানা পুলিশ আসামী ধরার বিষয়ে তৎপর থাকেনা।
সরেজমিনে ঘটনার খোঁজখবর এবং হকারদের সাথে আলাপ করে জানাযায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেনের লোকজন বেশকিছু দিন যাবত সুমনকে অপহরণের চেষ্টা করে আসছিল। কত কয়েকমাস আগেও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলতাফ সুমনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে এবং বিচার বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে। তাদের আশঙ্কা, মামলা হলেও আলতাফ বাহিনীর লোকজন যে কোন সময় সুমনের উপর করবে নিশ্চিত।
পূর্বের মামলা হামলা
ঘটনা ২০১১
২০১১ সালের ২ মার্চ উত্তরার ৭ নং সেক্টরের ৩৫ নং সড়কে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে প্রথম খুনের ঘটনা ঘটে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলামের সন্তান মো. সেলিম (৩১) কে ঐ সময় চাঁদাবাজরা টাকার জন্য পিটিয়ে হত্যা করে।
সেলিমের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল হত্যাকান্ডের একদিন পর অর্থাৎ ০৩ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ০৯)।
সূত্র বলছে, ঐ সময় জাকির মোল্লার নেতৃত্ব হাউজবিল্ডিং এলাকার ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করতেন দক্ষিণখানের রাজাবাড়ী এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে উজ্জল। পুলিশের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় হত্যা মামলার আসামী বনে যান প্রধান সাক্ষী।
তথ্য বলছে, সেলিমকে সেক্টরের যে স্থানে হত্যা করা হয় ঠিক তার পাশের সড়কেই (৩৪ নং সড়ক) রয়েছে চাঁদাবাজদের টর্চার সেল। আর সেখানেই সুমন আলীর উপর অস্ত্রশস্ত্র লোহার রড নিয়ে হামলে পড়ে অজ্ঞাত ৭/৮ যুবকসহ ইউসুফ, উজ্জল এবং মিলন।
[ ] ঘটনা ২০১৯
২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে উত্তরা পূর্ব থানার একটি সাধারণ ডাইরি থেকে জানাযায়, উত্তরার গডফাদার রাসেল মন্ডল ওরফে মাখন চাঁদার জন্য কাপড় ব্যবসায়ী মাসুমকে প্রকাশ্যে মারপিট এবং হত্যা চেষ্টা চালায়। পথচারীরা ঐ সময় তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানোয় সে যাত্রায় প্রানে বেঁচে যায় মাসুম। কিন্তু সাধারণ ডাইরি করার কারণে মাসুমের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে ফেলে লাইনম্যান রাসেল মন্ডল ওরফে মাখন।
[ ] ঘটনা ২০২২
মো.রিপন পেশায় ভ্যানে গার্মেন্টস পণ্য বিক্রেতা। গত ৭ মে ২০২২ সালে বাদী হয়ে রাসেল মন্ডলের দুই সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন সান এবং রায়হানের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন (মামলা নম্বর ০৮)।
মামলার এজাহার থেকে জানাযায়, বেআইনী ভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, চুরি ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং গর্ভপাতের মতো গুরুতর অপরাধের ঘটনা ঘটায় আসামীরা। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে উক্ত ঘটনায় চাঁদাবাজ রাসেল মন্ডলের সম্পৃক্ততা পায় এবং আদালতে সকল আসামীর নাম উল্লেখ করে চার্জশিট প্রেরণ করেন।
কাদের নিয়ন্ত্রণে ফুটপাত?
রাসেল মন্ডল ছাড়াও ‘উত্তরার ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করে চক্রটি পেশাদার চাঁদাবাজ। রাসেল ছাড়া বাকিরা প্রায় বিশ বছর যাবত চাঁদাবাজির সাথে জড়িত।
সূত্র বলছে, উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরের অলিগলি এবং প্রধান সড়কে প্রতিদিন দুই হাজারের অধিক হকার দোকানপাট নিয়ে বসে। ভ্রাম্যমাণ এসকল দোকান থেকে প্রতিমাসে কোটি টাকার বেশি চাঁদা উঠানো হয়।
চাঁদার বড় একটি অংশ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭/৮ সদস্য ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকেন।
বাকি টাকার ক্ষুদ্র অংশ কয়েকজন সাংবাদিক, লাইনম্যান এবং ক্যাডার ভিত্তিক রাজনৈতিক নেতা পরিচয়ে কিশোর গ্যাং এর পৃষ্ঠপোষক দক্ষিখান ও উত্তরখান থানার তালিকাভুক্ত অস্ত্র ও পুলিশ কোপানো মামলার আসামী ঠোঁটকাটা আলতাফসহ দু-একজন পেয়ে থাকেন।
দীর্ঘদিন ফুটপাতের টাকা উঠানোর দায়িত্বে থাকা কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানাযায়, প্রতিমাসে রাসেল, নবী, আতিক ও মোটা দুলাল চাঁদার যে পরিমাণ অংশ নিজেদের জন্য রাখেন তা প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার বেতনের সমতূল্য বা তার চেয়ে অধিক।
ভ্রাম্যমাণ হকারদের অভিযোগ, উত্তরার ফুটপাত নিয়ন্ত্রণের সাথে যেসকল ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন তাদের মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন রাসেল মন্ডল এবং তার প্রধান ক্যাডার উজ্জল।
রাসেল ওরফে মাখনের মদতে অস্ত্র ব্যবসায়ী ঠোঁটকাটা আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে মারপিট, মালামাল লুটপাটসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত এই দুই চাঁদাবাজ।
উত্তরা বিভাগের পুলিশ প্রধানের বক্তব্য
চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) উত্তরা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শাহাজাহান (পিপিএম।) চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে কড়া হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, ‘চাঁদা না দিয়ে পুলিশকে জানাবেন, আমরা তাদের ধরে নিয়ে আসবো। এসময় তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের চাঁদা না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কোথাও যদি চাঁদার জন্য আপনাদের উপর জুলুম করে তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।