প্রকাশিত : ০২ জুন, ২০২৫, ০৬:৫৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রহস্যজনক মৃত্যু,  ঘরের দরজা ভেঙ্গে পাওয়া গেল তিনজনের লাশ,  এক বছর আগে পরিবারের প্রধান কর্তার  স্ট্রোকে মৃত্যু

কাতিক ঘোষ , ধামরাই (ঢাকা) থেকেঃ 

শশুরালয় থেকে মুঠোফোনে  ফোন করে অপর প্রান্ত থেকে মা ও দু ভাইয়ের  কোন প্রকার উত্তর না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে পাওয়া গেল মা ও দুই ভাই সহ তিনজনের লাশ। 
বছরখানেক  আগে পরিবারের প্রধান কর্তা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজা মিয়া আরো  একইভাবে ঘরের ভেতর মৃত্যু  হয়েছিল। বছর না ঘুরতেই  একইভাবে একটি কক্ষের ভেতর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর ঘটনা  ঘটলো ওই ব্যবসায়ী রাজা মিয়ার স্ত্রী  ও তার দুই ছেলের। রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণকারী ওই  তিনজনের নাম হল নাজমা আক্তার,)৩৫) মোঃ শামীম হোসেন (১৭) ও সোলায়মান হোসেন(৬)। 
সোমবার দুপুরে এ মর্মান্তিক ও রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই উপজেলার  গাঙ্গুটিয়া  ইউনিয়নের রক্ষিত এলাকার  মৃত ব্যবসায়ী 
রাজা মিয়ার বাড়িতে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়  রক্ষিত  গ্রামের মৃত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজা মিয়ার মেয়ে  নাসরিন আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ রবিন হোসেনের  ইসলামের শরীয়ত  অনুযায়ী কাবিল রেজিস্ট্রি মুলে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে রয়েছে কন্যা সন্তান। মা ও দুই ভাই ঈদের উপহার নিয়ে তার বাড়িতে আসার  কথা সোমবার সকালে। তাদের আসতে বিলম্ব দেখে  গৃহবধূ নাসরিন আক্তার তার শ্বশুরবাড়ি থেকে  সোমবার সকাল থেকে মা ও ভাইদের খোঁজখবর নেয়ার জন্য ফোন দিতে থাকে। দুপুর ১২ টা নাগাদ মা ও দুই ভাই নাসরিন আক্তার এর  মুঠোফোনটি রিসিভ না করায় এবং অপর প্রান্ত থেকে কোন প্রকার উত্তর না পাওয়ায় ওই কামারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ রবিনের স্ত্রী ওই গৃহবধূ নাসরিন আক্তার হন্যে হয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তিনি লোকজন নিয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পান ঘরের ভেতর বিছানার উপর তার মা ও দুই ভাইয়ের লাশ।
বিষয়টি ধামরাই থানার অফিসার ইনচার মোঃ মনিরুল ইসলামকে অবহিত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ  তিনটি সনাক্ত  করেন। লাশের প্রধান প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ তিনটি রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মরগে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

এ ব্যাপারে রাজা মিয়ার মেয়ে নাসরিন আক্তার বলেন, আমার মা ও দুই ভাই স্বাভাবিকভাবে মারা যায়নি। কেউ না কেউ তাদেরকে কৌশলে হত্যা করেছে। কেবল আমার শরিকদের সঙ্গেই জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। যে বিরোধের কারণে আমার বাবা বছরখানেক আগে মৃত্যুবরণ করেছে। আর একইভাবে বছর না ঘুরতেই আমার মা ও দুই ভাইয়ের জীবন গেল। আমি তদন্ত সাপেক্ষে এ হত্যাকাণ্ডের কঠোর বিচার ও হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করছে। 

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘরের ভেতর একই সঙ্গে তিনজনের মৃত্যুবরণ সত্যিই রহস্যজনক। তবে ময়নার তদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের পরই এই মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়