প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব রোধে কঠোর পদক্ষেপ চান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

কে,এম সুজন:

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আস্থা ফেরাতে ৩১ দফা প্রস্তাবনা ইসির কাছে পেশ — ‘অর্থ, সন্ত্রাস ও প্রশাসনিক ম্যানিপুলেশান বন্ধ না হলে সৎ মানুষ নির্বাচিত হতে পারবেন না’

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর ২০২৫) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে দলটির প্রতিনিধি দল ৩১ দফা প্রস্তাবনা ও মতামত তুলে ধরেন

দলের প্রতিনিধিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক তিনি সাংবাদিকদের জানান  , গত দেড় দশকে তিনটি নির্বাচন কমিশন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা “কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে”। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা ‘ভূলুণ্ঠিত’ হওয়ায় জনগণের মধ্যে ভোট ও নির্বাচনের প্রতি গভীর অনাস্থা ও হতাশা তৈরি হয়েছে।

তারা বলেন, “এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন ও সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব।”

ইসির পদক্ষেপে আস্থা, তবে উদ্বেগও প্রকাশ

সাইফুল হক আরো জানায়, ভোটার তালিকা সম্পন্ন করাসহ ইসির বেশ কিছু উদ্যোগকে তারা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ছাড়াই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোয় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তারা বলেন, “আরপিওতে কিছু ইতিবাচক বিষয় যুক্ত হলেও নির্বাচনে অঢেল অর্থ ব্যয় রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেই। বরং জামানতের টাকা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজারে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিবেচনাপ্রসূত।”

দলের মতে, ব্যয়সীমা বাড়ানো ও জামানত বৃদ্ধি করলে “কালো টাকা, মাফিয়া, সন্ত্রাসী ও বিত্তবানদের প্রভাব” আরও বাড়বে, ফলে সৎ ও জনদরদী প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে বাদ পড়বেন।

৩১ দফা প্রস্তাবে যা আছে

দলটি নির্বাচন কমিশনের কাছে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিতে ৩১ দফা প্রস্তাবনা পেশ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলো—

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
আজ মঙ্গলবার ৪/১০/২৫ মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগারগাঁও দেখা করেন। দেশ ও জনগণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন সংক্রান্ত কয়েক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরতেই আমরা

গত দেড় দশকে তিনটি নির্বাচন কমিশন দেশের সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কার্যতঃ ধ্বংস করে দিয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে সরকার ও সরকারি দলের এক ধরনের অংগ সংগঠনে অধঃপতিত করা হয়েছিল। এর ফলে ভোট ও নির্বাচন নিয়ে গণ অনাস্থা আর গণহতাশা দেখা দিয়েছে। আমরা মনে করি এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনসহ গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা আপনাদের প্রধান কর্তব্য।

আপনারা দায়িত্ব নেবার পর এই পর্যন্ত আপনাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ভোটার তালিকা সম্পন্ন করাসহ আপনাদের বেশ কিছু তৎপরতা আমরা ইতিবাচক হিসাবেই বিবেচনা করছি। ইতিমধ্যে আপনারা আগামী ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন আমরা আশা করব তা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হবে।

আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই যে, জনআকাংখা ও রাজনৈতিক দলসমূহের মতামত বিবেচনায় নিয়ে সাংবিধানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে অচিরেই আপনারা পেশাগত দক্ষতা নিয়ে ত্রয়োদশ সংসদের অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃশ্যমান কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন মহল থেকে কিছু বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপর অযৌক্তিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচন কমিশনকে যেমন স্বাধীন ও কার্যকর ভূমিকায় দেখতে চাই, তেমনি নির্বাচন কমিশনেরও জবাবদিহিতার বিধান থাকা দরকার।

আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে নির্বাচনের প্রধান স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ব্যতিরেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিও চূড়ান্ত করে ভেটিং এত জন্য আপনারা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। এটা নানা প্রশ্ন ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আরপিও তে নানা ইতিবাচক বিষয় যুক্ত করলেও নির্বাচনে বেশুমার ও যথেচ্ছ অর্থ ব্যয় বন্ধে আমরা কার্যকরি পদক্ষেপ দেখছিনা। জামানতের টাকা ২০

হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধির পদক্ষেপ খুবই অবিবেচনাপ্রসূত প্রাব নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা বৃদ্ধির পরোক্ষ প্রস্তাবও অগ্রহণযোগ্য। এই অবস্থা চলতে দিলে অপ্রদর্শিত এই বিশাল অংকের কালো টাকা নির্বাচন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দূর্বত্ত, বিত্তবান ও মাফিয়া

সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করবে। অর্থ, সন্ত্রাস, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ম্যানিপুলেশান বন্ধ করা না গেলে ব্যতিক্রম ছাড়া সৎ, জনদরদী, নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ নির্বাচিত হতে পারবেন না এবং জাতীয় সংসদ প্রকারান্তরে আর বেশী করে বিত্তবান ও কালো টাকার মালিকদের ক্লাবে পরিনত হবে। এ ব্যাপারে আপনাদের কঠোর ও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনারা দায়িত্ব পালন করছেন। আপনাদের উপর দেশবাসীর বিপুল প্রত্যাশা। আশা করি

প্রজ্ঞা, দক্ষতা, দূরদর্শিতার মাধ্যমে আপনারা এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।

অবাধ, নিরপেক্ষ ও গনতান্ত্রিক নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা নিম্নোক্ত কয়েকটি মতামত ও সুপারিশ পেশ করছি।

১। নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের কার্যকরি দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যাস্ত থাকা দরকার।

২। ভোট কেন্দ্রে কেবলমাত্র সিল দেওয়ার গোপন কক্ষ ব্যাতিত সারা দেশে সমগ্র কেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবস্থা রাখা। ভোটকেন্দ্রের বাহিরে বড় স্ক্রীনের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, দেশী-বিদেশী নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিদের প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা।

৩। ভোট কেন্দ্রে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি/সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা থাকা।

৪। কোন সরকারিজীবী চাকুরী ছাড়ার পাঁচ বছরের মধ্যে কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না- এমন আইন প্রণয়ন করা।

৬। রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম ৫ হাজার টাকার অধিক মূল্যে বিক্রি করা যাবে না।

৭। নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন ফরম পেতে১০ হাজার টাকার বেশী গ্রহণ করা যাবে না। সিডি/ ভোটার তালিকা ক্রয় বাবদ কোন ফি ধার্য করা যাবে না।

৮। পোস্টার বর্তমান প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। তবে সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া দরকার।

৯। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীদের সমন্বিত যৌথ প্রচারের ব্যবস্থা করা।

১০।, সরকারি বেসরকারি গণমাধ্যমে সকল দলের সমান প্রচারের ব্যবস্থা থাকা দরকার।

১১। এআই কনটেন্টসহ সামাজিক গণমাধ্যমে অপতৎপরতা ও অপতথ্যের ব্যবহার ও প্রচার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

১২। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় বৃদ্ধি না করা।

১৩। নির্বাচনের মনোনয়ন ফরমের সাথে হলফনামা জমা নিতে হবে।

১৪। নির্বাচন শেষে তিন মাসের মধ্যে হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে হবে। অসামঞ্জস্য দেখলে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা থাকবে।

১৫। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার যথাসম্ভব নির্বাচন কমিশন থেকেই দায়িত্ব প্রদান করা। পক্ষপাতদুষ্ট, বিতর্কিত কোন প্রতিষ্ঠানের কোন ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ দেয়া যাবেনা।

১৬। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতি বছর তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশন ও দুদকে জমা দেওয়ার বিধান রাখা।

১৭। রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় সদস্য ছাড়া বাইরে থেকে কেবলমাত্র পাঁচ শতাংশ মনোনয়ন দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি কোন সংগঠিত সংঘের/ক্লাবের/প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকেন তাহলে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

১৮। যেকোন পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারের জনআস্থা হারালে তাকে রিকল করার বিধান রাখা।

১৯। যেকোন পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে জবাবদিহীর ব্যবস্থা রাখা।

২০। অলাভজনক দায়িত্ব হিসাবে সংসদ সদস্যরা প্রধানতঃ আইন প্রণয়নের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। উন্নয়ন বরাদ্দে বা নানা প্রকল্পে তাদের যুক্ত থাকার বিধান বাতিল করা।

২১। তিনশত আসনেই না ভোটের ব্যবস্থা চালু করা।

২২। সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ী আমদানি বন্ধ করা। মন্ত্রীদের একাধিক গাড়ী দেওয়া যাবে না। হলফনামায় যদি ঢাকায় ফ্ল্যাট বা বাড়ী থাকে সেসব সাংসদ/মন্ত্রীর নামে সরকারি বাড়ী বরাদ্দ না দেওয়া।

২৩। এমপি/মন্ত্রী কোন স্কুল, কলেজ, মন্দির, মসজিদ, মাদ্রাসা, ক্লাব, সংঘ, সমিতি, গীর্জা ইত্যাদি ধরনের কোন প্রতিষ্ঠানের কমিটির সর্বোচ্চ পদে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারবে না।

২৪। রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি/ মেয়র কেউ যাতায়াতের সময়ে জনগণের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটিয়ে প্রটোকলের নামে রাস্তা বন্ধ করা যাবে না।

২৫। নির্বাচনে টাকার খেলা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। সর্বোচ্চ ৫ জনের অধিক ব্যক্তি নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া যাবে না। নির্বাচনে কথিত 'শোডাউন' কঠোরভাবে বন্ধ করা। নির্বাচনে অদৃশ্য অঢেল ব্যয় রোধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া।

২৬। নির্বাচনে সন্ত্রাস, গুন্ডামী, প্রশাসনিক ম্যানিপুলেশান, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় অনুভূতির রাজনৈতিক ব্যবহার রোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া।

২৭। দ্বৈত নাগরিকগণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবং ভোট প্রদান করতে পারবেন না।

২৮। প্রবাসীদের ভোট প্রদানের উপযুক্ত ব্যবস্থা চালু করা।

২৯। ভোট প্রদানে যে কোন ধরনের বাধাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।

৩০। ভোট গননা ও ফলাফল ঘোষণা করার প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্বচ্ছ করা।

৩১। গুরুতর অনিয়ম ও জ্বালিয়াতির কারণে নির্দিষ্ট কেন্দ্রের পাশাপাশি গোটা আসনের নির্বাচন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা রাখা।

দেশবাসীর বিপুল প্রত্যাশা আপনাদের ওপর’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, “দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনারা দায়িত্ব পালন করছেন। প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে 

দলটি আশা প্রকাশ করে যে, ইসি জনআকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনায় নিয়ে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়