এবাদুল হোসেন
দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা, গহত্যার বিচার, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধের দাবি তুলে ধরা হয়।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বক্তারা বলেন—
"জুলাই সনদ ছিল জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের ঘোষণা, অথচ তা এখন মলিন। গহত্যার বিচার হয়নি, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।"
এ সময় আরও দাবি জানানো হয়—
১। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং জুলাই সনদের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
২। গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখী করার জন্য কার্যকরী জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৩। পিলখানা, শাপলা, মোদিবিরোধী আন্দোলন, জুলাইসহ সকল গণহত্যা ও আওয়ামী আমলে সংগঠিত জুলুম, নির্যাতন, দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
৪। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, আওয়ামী আমলে ভারতের সাথে সম্পাদিত গোপন অসম সকল চুক্তি জনসম্মুখে আনতে হবে এবং বাতিল করতে হবে।
৫। সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের মতোই তাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
৬। আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।
৭। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। ভারতের প্রভাবমুক্ত জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন এ এম এম আনাস, জাগপার কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি।
বক্তব্য দেন—
তানিয়া আক্তার রূপা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি
মোঃ হেলাল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক
আবদুল হালিম, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
মোঃ হারুন ও মোঃ নূরুল আমিন, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক
নাসিমা আক্তার, জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
জুয়েল হাসান, জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক
এসময় জনাব এ এম এম আনাস আরও বলেন, সময় এসেছে দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে নতুন করে গঠনের—যেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে ভন্ডামি চলবে না। জাতীয় স্বার্থে জনগণকে জাগতে হবে।