গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিবন্ধন নাম্বার ৬৮
মোঃ কামরুজ্জামান, লামা-আলীকদম(বান্দরবান): পার্বত্য লামা-আলীকদমে "শান্তি বাহিনী নির্মুলে মুরুং বাহিনীর অবদান" এক ইতিহাসের নাম। ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজকে রয়েছে, এই বঙ্গে মুরুং সম্প্রদায়ের আগমন অবস্থান ও অবদান। ম্রো পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রাচীন নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি এবং বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতিসত্বা। ম্রোদের আদি নিবাস মায়নামারের আরাকান রাজ্য। আনুমানিক ১৪৩০ খ্রিঃ অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৫৯২ বছর আগে ম্রোরা বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম, থানছি ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। এত আগে নৃ-গোষ্ঠীর আর কোন সম্প্রদায় এই বঙ্গে আসেনি।ম্রোরা মূলতঃ প্রকৃতি পূজারী এ জন্য তাদেরকে প্রকৃতির সন্তান বলা হয়। এদের অধিকাংশই 'বৌদ্ধ' ধর্মাবলম্বী, খৃষ্টীয় আগ্রাসনে বহু ম্রো 'খিস্টান' ধর্ম পালন করে। তবে কয়েক বছর আগে ম্রোদের মধ্যে একটা নতুন ধর্ম ‘ক্রামা’ আর্বিভাবের ফলে বর্তমানে ম্রোদের একটি অংশ ক্রামা ধর্মের অনুসারি। সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে মুরুং উপজাতিরা আরকান থেকে পালিয়ে আলীকদমের বিভিন্ন পাহাড়ী উপত্যকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তবে বার্মার আকিয়াব জেলায় এখনো মুরুং উপজাতীয় বসতি বিদ্যমান বলে জানা যায়। ম্রোরা শান্তিপ্রিয় সম্প্রদায়। পার্বত্য বান্দরবানের লামা-আলীকদমে শান্তি প্রতিষ্ঠায়, মুরুং বা ম্রোরা ৮০'র দশকে শান্তি বাহিনী (জেএসএস) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলে। যার ফলে দক্ষিন বান্দরবানে শান্তির সুবাতাশ বইছে। এই শান্তি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে মুরুং সম্প্রদায়কে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনতে হবে। আশার কথা হচ্ছে, সাম্প্রতিককালে আলীকদম জোন মুরুংদের শিক্ষা-সমাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। একই সাথে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি'র সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অর্থনৈতিক সুফল মুরুংদের অনুকুলে যাচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital