গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিবন্ধন নাম্বার ৬৮
বাংলাদেশের কাছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। কিভাবে ক্রয় করা যায় তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ সোমবার (২৩ মে) বিদ্যুৎ ভবনে বিপিএমআই আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ খাতে সাইবার নিরাপত্তা-নীতি এবং অপারেশনাল দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ অনেক পণ্যই রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানি করে থাকে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গম, সূর্যমুখী তেল, ভুট্টা, তুলা, সরিষা, মসুর ডাল, জ্বালানি তেল, গ্যাস ইত্যাদি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে আমদানি করেছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য এবং রাশিয়ায় রপ্তানি করা হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ মূলত যে পণ্যটি ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি আমদানি করে থাকে তা হলো গম। সূর্যমুখী তেলের বড় অংশই আসে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। এ ছাড়া বিভিন্ন খাদ্যশস্য; যেমন—ভুট্টা, তুলা, সরিষা ও মসুর ডালের চাহিদাও এই দুটি দেশ থেকে পূরণ করা হয়।
কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এবং রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব পণ্য আমদানি করা নিয়ে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। এর প্রধান ভুক্তভোগী হচ্ছে দেশের দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি। এরই মধ্যে বাজারের নিত্যপণ্যের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি হারে বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া আগে প্রতিদিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করত, যার অর্ধেকের বেশি যেত ইউরোপে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধে রাশিয়ার। ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital