গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিবন্ধন নাম্বার ৬৮
এ.বি.এম.হাবিব- নওগাঁর মান্দায় কশব ইউনিয়নের পাঁজরভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের তালাবদ্ধ করে রেখে প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা বেগমসহ সকল শিক্ষিক/শিক্ষিকা সিঁহাট্টা স্কুলে দাওয়াত খেতে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
মোবাইলে মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকরা এর সম্পূর্ন সত্যতা পান।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে ১১ টার সময় উপজেলার কশব ইউনিয়নের পাঁজরভাঙ্গা ৮৬ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা বেগমসহ সকল শিক্ষিক/শিক্ষিকা সিঁহাট্টা স্কুলে দাওয়াত খেতে যান। এতে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও স্কুলে শিক্ষকেরা ফিরে না আসায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতংক বিরাজসহ কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করে দেয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা স্কুলের গেটে এসে তালা ঝুলানো দেখতে পেয়ে একে একে প্রায় সকল অভিভাবকরা এসে সেখানে উপস্থিত হন ৷ এবং তালাটি ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধার করতে না পেরে শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে। পরে ৪.৩০মিনিটে শিক্ষক/শিক্ষিকারা এসে তালা খুললে ছাত্র-ছাত্রীরা বেরিয়ে আসে এবং ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে প্রধান শিক্ষিকা তিনি সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে থাকেন।
এবিষয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী রাফিউল,সাকিল,সাথি ও মালেক জানান,প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষিকেরা স্কুলের প্রধান গেটে তালাবদ্ধ করে দাওয়াত খেতে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল, ফারানা ও মমিনুল জানান, বিকাল ৪ টার দিকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের চিৎকারে তালা ভেঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন তারা কিন্তু দুটো তালা দেওয়ার কারণে তা সম্ভব হয় না । পানির ব্যাবস্থা না থাকায় মটর চালু করতে গিয়ে এক ছাত্রকে বিদ্যুতের শক লাগে এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও আতঙ্ক বিরাজ করে এবং চিৎকার কান্নাকাটি শুরু করে ৷ স্থানীয়রা চিৎকার শুনে তাদেরকে উদ্ধার প্রক্রিয়াই তালা ভাঙতে না পারায় ব্যর্থ হন।
পরে প্রধান শিক্ষিকা এসে তালা খুলে দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। সাধারণ জনগণের দাবি, স্বেচ্ছাচারী ও ক্ষমতাবান প্রধান শিক্ষিকা প্রভাবশালী ব্যক্তির আত্মীয় হওয়ায় কাউকে পরোয়া করে না, কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেও তাকে বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করে এমন শিক্ষিকার হাত থেকে পরিত্রান চায় এলাকাবাসী।
এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন সহকারী শিক্ষিকা নাজনীন সুলতানা।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা বেগম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা সকল শিক্ষিক/শিক্ষিকা মিলে দাওয়াতে গিয়েছিলাম, আসতে দেরি হওয়ায় সকল ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলেই স্কুলের গেটে তালাবদ্ধ করা হয়েছে।
কিন্তু এটা নিয়মের পরিপন্থী কাজ এমন প্রশ্নে তিনি শুধু ক্ষমা চাইতে থাকেন আর কোন উত্তর দেন নাই।
এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, এইমাত্র শুনলাম কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital