চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বিজিবি, আনসার, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার ১৬ জনের বক্তব্য আমরা শুনেছি। নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে তারা সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। প্রত্যেকে আশাবাদী ২৭ জানুয়ারির চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, বিভিন্ন পর্যায়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যে নিয়োগ-মোতায়েন সেটা সঠিকভাবে হয়েছে। আশা করি, নির্বাচন ভালো হবে।
আজ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনী পরিবেশ ভালো। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে সৌহর্দ্যপূর্ণ পরিবেশ, তা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ছিল না। নির্বাচনে কোনো সহিংসতা কাম্য নয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, তবে এই প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে পরিণত না হয়, সেজন্য প্রার্থীদের সহনশীল আচরণ করতে হবে।
নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের প্রার্থী-সমর্থকরা খুব সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচনী কার্যাবলী পরিচালনা করবেন। আমরা আশা করি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার মধ্যেই নির্বাচন হবে। সহিংসতার মধ্য দিয়ে নির্বাচন শেষ হবে না। নির্বাচনের প্রার্থী ও সমর্থকদের বলবো, নির্বাচনের পরও আপনার এই সমাজে বাস করবেন। কাজেই কেউ যেন আসামি বা বাদী হিসেবে বাস করতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
তিনি আরো বলেন, সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই, তার প্রয়োজনীয়তাও কমিশন অনুভব করছে না। যেখানে ইভিএমে ভোট হবে সেখানে সশস্ত্র পুলিশ পাহারা থাকবে। ভেতরে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া, সেটা সম্ভব না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে এবং আদালতের ওয়ারেন্ট আছে, অবশ্যই পুলিশ তো তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা করতে পারে। নিরপরাধ কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাদের অভিযান নেই। শনিবার পর্যন্ত জমা পড়া ৫৬টি অভিযোগের মধ্যে ৩৫টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকিগুলো তদন্তনাধীন।
বিভিন্ন মামলার অনেক আসামি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তাদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিইসি বলেন, যে এক্ষেত্রে আইনের কারণেই তাদের কিছু করার নেই। কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না সেটার একটা আইন আছে। কারা প্রার্থী হতে পারে সেটার কতগুলো বিধান আছে। যদি কেউ দুই বছরের শাস্তি পান তাহলে তাহলে তাকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা হয়। যদি কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে সে অপরাধী না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার রশিদুল হাসানসহ র্যাব, আনসার, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
01868974512
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com , thana.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital