আলাউদ্দিন, সিনিয়র রিপোর্টার:
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা (৩৮ মাস দায়িত্বে থাকা) এএসআই সোলায়মান বাদশার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি, দুর্নীতি ও স্থানীয় অপরাধী চক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকার অভিযোগ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রকাশের পর পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার সাংবাদিক সমাজ দাবি করছে—এই তৎপরতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইতিবাচক সংকেত হয়ে উঠেছে।
অভিযোগ ও প্রতিবেদন
তদন্তমূলক সাংবাদিকতার পর প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, এএসআই সোলায়মান বাদশা ৩৮ মাস গত থাকে থানা এলাকা (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ) এবং বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ছিলেন। এরপরই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানি, হুমকি ও অপপ্রচারের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ আসে। এক সাংবাদিক বলেন:
> “প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে আমাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমনকি বলা হচ্ছে, আমার নামে সাজানো নাটক করে মানববন্ধন করা হবে। এতে আমি ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
পুলিশের পদক্ষেপ ও বদলি
এ অভিযোগের পর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দ্রুত সমন্বয় করে বিষয়টি নিয়েছেন। জেলার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লা) ঘটনাটিকে গুরুত্বসহকারে দেখেছেন বলে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয়—উল্লেখযোগ্য জায়গায়, এএসআই সোলায়মান বাদশাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ঢাকা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ সাংবাদিকদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
সাংবাদিক সমাজের প্রতিক্রিয়া
কুমিল্লার সাংবাদিকরা পুলিশের এই উদ্যোগকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলছেন। এক সাংবাদিক বলেন:
> “কুমিল্লায় সত্যিকার অর্থেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান অসাধারণ ভূমিকা রাখছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমরা তার কাছে সঠিক বিচার পেয়েছি।”
স্থানীয় সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিক সমাজ মনে করছে, অভিযোগ যদি তদন্তের সুযোগ পায় এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দরকারি ব্যবস্থা নেয়া হয়—তাহলে তা শুধুমাত্র এক ঘটনা নয়, একটি পাঠ হয়ে উঠতে পারে যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম একসঙ্গে সমাজে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে।