নিউজ ডেস্কঃ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত ‘ভোটগ্রহণের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে ৭০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন।
সিইসি বলেন, “প্রিসাইডিং অফিসারদের পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হবে। তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আইনগত, প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমাদের প্রমাণ করতে হবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত আছে। সবার সহযোগিতায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে হবে।”
নাসির উদ্দিনের মতে, নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক নিয়োগই বড় চ্যালেঞ্জ। সবাইকে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
কর্মশালায় বক্তারা গুজব, অনলাইন আর্থিক অনিয়ম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “অতীতের ব্যর্থতা ভুলে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতেই রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণেও উৎসাহিত করতে হবে।”
নির্বাচন কমিশন সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, “ভোটগ্রহণে নিরাপত্তা ও দক্ষতার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।”
চট্টগ্রাম জেলার নির্বাচনী পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান—
ভোটার: ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫ জন
ভোটকেন্দ্র: ১ হাজার ৯৫৯টি
বুথ: ১২ হাজার ৫৪০টি
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা: প্রায় ৪৪ হাজার
চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. বশির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক।