মাইদুল হক মিকুঃ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেট আকারে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের অপেক্ষা করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেই এ খাতে তহবিল বরাদ্দ রাখা হবে।
বাস্তবায়ন সময়সীমা
-
মার্চ–এপ্রিলের মধ্যে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করতে সংশোধিত বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে।
-
ডিসেম্বরের মধ্যেই পে কমিশনের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা পড়বে।
কমিশনের প্রস্তাব
-
বেতন অনুপাত: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে রাখা হতে পারে।
-
ভাতা বাড়ানো: চিকিৎসা ও শিক্ষা ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি অবসরোত্তর বাড়তি সুবিধা যুক্ত করার পরিকল্পনা।
-
পদোন্নতি সহজীকরণ: সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিল করে সহজ পদোন্নতির প্রস্তাব আসতে পারে।
-
বিশেষ ভাতা: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রস্তাব করা হবে, যাতে মেধাবীরা এসব খাতে আকৃষ্ট হয়।
কাঠামোর বিস্তার
-
বর্তমানে প্রায় ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জাতীয় বেতন কাঠামোর আওতায় বেতন পান।
-
সশস্ত্র বাহিনী, ব্যাংক, বিদ্যুৎ কোম্পানি ও বিচার বিভাগের আলাদা কাঠামো থাকলেও সেগুলোকে জাতীয় কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রস্তাব আসবে।
-
সব মিলিয়ে সরকারি বেতন-ভাতাভোগীর সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ।
অর্থনৈতিক প্রভাব
-
নতুন কাঠামো বেসরকারি খাতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
-
কমিশন অক্টোবর মাসে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবে।
-
পোশাকসহ ৪৫টি খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সরকারি বেতন কাঠামোর সঙ্গে সমন্বয় করার সুপারিশ থাকবে।
বাজেট বরাদ্দ
-
২০২৫–২৬ অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
-
২০২৪ সালের নভেম্বরে ভাতা সংস্কার আলোচনা শুরু হয় এবং চলতি বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১০ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।