রবিউল ইসলাম সাজু, বগুড়া
বগুড়ায় হাটঁতে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী হাসিন রাইহান সৌমিকের (২৮) লাশ উদ্ধারের ঘটনার প্রায় একমাস পেরিয়ে গেলেও কোন রহস্য উদঘাটনকরতে পারেনি পুলিশ। সৌমিকের মরদেহ উদ্ধারের পর তার বাবা বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা নূর মসজিদ এলাকার বাসিন্দা তৌফিকুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬শে জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ২৯শে জুন সকাল ৯টার মধ্যে কোন এক সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গ সৌমিক’কে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে কৌশলে হত্যা করেছে। হত্যার পর লাশ গুম ও প্রমাণাদি লোপাটের জন্য ক্যান্টনমেণ্ট বোট ক্লাবের লেকে ফেলে রেখে চলে যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৬শে জুন সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাসিন রাইহান সৌমিক (২৮)। নিখোঁজের ঘটনায় পরদিন ২৭শে জুন বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করে সৌমিকের পরিবার। ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা বগুড়া ক্যান্টনমেণ্ট স্টেশন বোট ক্লাবের লেকে সৌমিকের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা।
সংবাদ পেয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশ সৌমিকের মরদেহ উদ্ধার করে। লোক মারফত সৌমিকের পরিবার খবর পেয়ে লাশ শনাক্ত করে সুরতহাল প্রতিবেদন এবং ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করলে ঐদিন রাতেই সোনাতলা উপজেলার বোচারপুকুর নিজগ্রামে দাফন কাফন সম্পন্ন হয়।
বগুড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জলেশ্বরীতলা থেকে মিসিং হয়ে মরদেহ উদ্ধার এবং প্রায় একমাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোনো রহস্য উম্মোচন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন সৌমিকের পরিবার। এ ব্যাপারে শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুলিশী তদন্ত চলমান রয়েছে।