প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাশিয়ার তেলে নিষেধাজ্ঞা: চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর সমুদ্রপথে তেল কেনা স্থগিত

ছবিঃ সংগ্রহীত।

নিউজ ডেস্কঃ 

রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জেরে চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) একাধিক বাণিজ্যিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় চীনের প্রধান চার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি—পেট্রোচায়না, সিনোপেক, সিএনওওসি ও ঝেনহুয়া অয়েল—রুশ তেল কেনাবেচা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অর্থায়ন রোধই এই নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য। এর ফলে মস্কোর অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সমুদ্রপথের তেল আমদানিকারক দেশ ভারতও নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে গিয়ে তেল আমদানি কমানোর পরিকল্পনা করছে। ফলে রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে বড় ধরনের ধস নামতে পারে, যা বৈশ্বিক বাজারে তেলের দামে নতুন চাপ সৃষ্টি করবে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিনোপেকের ট্রেডিং শাখা ইউনিপেক ইতিমধ্যে রুশ তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য রসনেফট, লুকওয়েল এবং তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ জাহাজ ও কিছু চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

চীন বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১৪ লাখ ব্যারেল রুশ তেল আমদানি করে, যার বেশিরভাগই ছোট বেসরকারি রিফাইনারি বা ‘টিপট রিফাইনারি’ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে আসে। ভর্টেক্সা অ্যানালিটিক্সের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর রুশ তেল আমদানি দৈনিক ২.৫ লাখ ব্যারেলের নিচে নেমে আসে।

ব্যবসায়ীদের ধারণা, পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত তেল নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে ভারত ও চীন বিকল্প উৎস খুঁজতে শুরু করলে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার তেলের দাম বাড়তে পারে।

সূত্র: রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়