প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গঠনের প্রস্তাব

ছবিঃ সংগ্রহীত।

মাইদুল হক মিকুঃ 

লেবাননের ইরান-সমর্থিত শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গত শুক্রবার সৌদি আরবকে অতীতের বিরোধ ভুলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন শেখ নাইম কাসেম, যারা রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রস্তাবও রেখেছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন এবং গোষ্ঠী সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে সৌদি ও উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। পরবর্তী সময়ে রিয়াদ, ওয়াশিংটন ও লেবাননের অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বীরা হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার জন্য প্রভাব বাড়ায় এবং লেবাননের ওপর চাপ দেয়। এসব পটভূমিতে হিজবুল্লাহ এখন রাজনৈতিক সতর্কবার্তা ও কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে।

হিজবুল্লাহর নেতা কাসেম বলেন, আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে হিজবুল্লাহকে হুমকি হিসেবে না দেখে ইসরায়েলকেই মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান হুমকি হিসেবে দেখতে হবে। তিনি পুনরাবৃত্তি করে বলেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্র লেবানন, সৌদি আরব বা অন্য কোনো আরব দেশের অভ্যন্তরীণ লক্ষ্যবস্তুর দিকে নির্দেশিত নয় — তারা কেবলমাত্র ইসরায়েলি শত্রুর বিরুদ্ধে অবস্থান রাখে। তাঁর ভাষ্য, হিজবুল্লাহকে ওপর চাপে রাখলে তা ইসরায়েলের পক্ষে সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করবে।

প্রেক্ষাপট হিসেবে প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে যে, ২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধে পরবর্তী সময়ে সৌদি আরব লেবাননের পুনর্গঠন ও সহায়তায় বড়অর্থ ব্যয় করেছিল; তবু ইরানের সহায়তায় হিজবুল্লাহ লেবাননে শক্তিশালীভাবে ফিরে এসেছে। ২০২১ সালে সৌদি আরব লেবাননের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার ও আমদানি-নিষেধ আরোপ করেছিল এবং তখন থেকে দ্যুতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উত্তপ্ত ছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক গতিবিধি, অঞ্চলের বড় শক্তিগুলোর কূটনৈতিক পটপরিবর্তন এবং সিরিয়া-ইরাকে চলমান সংঘর্ষ এসব মিলিয়ে এখন হিজবুল্লাহ-সৌদি সম্পর্ক নিয়ে নতুন দিকনির্দেশনা দেখা দিচ্ছে। হিজবুল্লাহর এই আহ্বান বাস্তবে কীভাবে প্রভাব ফেলবে—সৌদি সরকার কি বিনয়ীভাবে যোগাযোগ গ্রহণ করবে, নাকি কড়া অবস্থাতেই থেকে যাবে—তা নির্দিষ্ট সময়ের ঘটনাবলিই নির্ধারণ করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়