তপন কুমার সাহা, সিনিয়র রিপোর্টার:
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে সিলেটের চা বাগানগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। ঈদের দিন বিকাল থেকেই মাধবকুণ্ড, মালনীছড়া, লাক্কাতুরা, শ্রীমঙ্গল ও জাফলংয়ের চা বাগানগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
সবুজে ঘেরা পাহাড় আর সারি সারি চা গাছের মাঝে সময় কাটিয়ে ঈদের আনন্দকে আরও রঙিন করে তুলেছেন দর্শনার্থীরা। শিশুদের উচ্ছ্বাস আর তরুণ-তরুণীদের আড্ডায় মুখর ছিল পুরো এলাকা। অনেকেই সেলফি ও গ্রুপ ছবি তুলে এই স্মৃতি ধরে রাখেন ক্যামেরায়। ঈদের ছুটিকে ঘিরে এসব এলাকায় দেখা যায় উৎসবমুখর পরিবেশ। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও যানবাহনের সুবিধার্থে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় বাড়তি ব্যবস্থা।
চা বাগানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বলেন, “চা বাগানের মনোরম পরিবেশে ঈদের বিকেল কাটানো সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি। শিশুরাও অনেক আনন্দ করছে। সবুজ বন ও বাগান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। এখানে এসে ঈদের আনন্দ যেন আরও বহুগুণ বেড়ে গেছে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বলছেন, ঈদের সময় পর্যটকদের আগমনে বেচাকেনা বেড়েছে কয়েকগুণ। হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পরিবহন খাতে এসেছে চাঙ্গাভাব। চা বাগান এলাকার ছোট দোকানগুলোতেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে চা বাগান এলাকায় পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবকরা সমন্বয়ে কাজ করছে যাতে পর্যটকদের যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়।
চা বাগানের এই সৌন্দর্য ও ঈদের আমেজ মিলে সিলেট হয়ে উঠেছে এক অনন্য পর্যটন গন্তব্য। ঈদের ছুটির বাকি দিনগুলোতেও এখানে পর্যটকদের ভিড় অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।