
ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের জন্য আসন্ন ৪৯ তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ঢাকাগামী পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির। সোমবার পরিবহন প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও ছাত্র অধিকার সম্পাদক জাকারিয়া হোসাইন। আগামী ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ আবেদনপত্র জমা দেন তারা।
আবেদনে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ঢাকায় যাতায়াত করা ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকাগামী বাসের ব্যবস্থা করা হলে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আসন্ন ৪৯ তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষাটির কেন্দ্র ঢাকায় হওয়ায় এই বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর একযোগে ঢাকায় যাতায়াত পরিবহন সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর ঢাকায় যাওয়া একদিকে যেমন অত্যন্ত ব্যয়বহুল, তেমনি এটি অনেক কষ্টসাধ্যও। এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ মনোযোগ পরীক্ষার প্রস্তুতির দিকে থাকা উচিত। তাই, আমরা মনে করি— পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা প্রদান করা একান্ত জরুরি। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমিয়ে পরীক্ষায় ভালোভাবে অংশগ্রহণে এটি সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গতকাল পরিবহন প্রশাসক মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করি এবং আমাদের দাবিটি তুলে ধরি। পরবর্তীতে উপাচার্য স্যারের কাছেও আমরা একই দাবির কথা জানিয়েছি। উপাচার্য স্যার আমাদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব দ্রুত এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুর রউফ বলেন, আমাদের প্রশাসন ছাত্রদের দাবিতে সবসময় সহযোগিতাপূর্ণ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খেলাধুলা বা যেকোনো ধরনের প্রোগ্রাম থাকলে সেখানে পরিবহন ব্যবস্থা করে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদিও এটা একেবারেই ব্যতিক্রমী তবে উপাচার্য যদি মনে করেন তাহলে দিতে পারেন। আমি তাদেরকে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছি।