দেলোয়ার (ক্রাইম রিপোর্টার)
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার এএসআই সোলায়মান বাদশার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্থানীয় অপরাধী চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পর নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক দাবি করেছেন, প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে তাকে ভয়ভীতি ও হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকের অভিযোগ
অভিযোগকারী সাংবাদিক জানান, প্রতিবেদনের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে ভয় দেখানো ও মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। তার ভাষায়,
> “প্রতিবেদন প্রকাশের পর আমাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমনকি বলা হচ্ছে, আমার নামে সাজানো নাটক করে মানববন্ধন করা হবে। এতে আমি ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাকে প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হতে পারে—যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য উদ্বেগজনক।
সাংবাদিক সমাজের প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি কুমিল্লার সাংবাদিকদের মাঝে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাদের মতে—
> “তদন্তমূলক সাংবাদিকতার কারণে যদি একজন সংবাদকর্মী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তা গণতন্ত্র ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের জন্য হুমকি।”
তারা বলেন, সাংবাদিককে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপপ্রচার চালানো মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং এ ধরনের পরিস্থিতি তদন্ত সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
অভিযোগ ও তদন্তের দাবি
স্থানীয় সাংবাদিকরা কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করবেন। তাদের দাবি—
অভিযোগের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত
সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত
হয়রানি ও অপপ্রচার প্রতিরোধ
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ
প্রতিক্রিয়া ও যোগাযোগের চেষ্টা
এই বিষয়ে এএসআই সোলায়মান বাদশার প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক দাবি করেন, তার নম্বর ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম আহমেদকেও বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ আশা করছে, প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপদ সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি বলে সুশীল সমাজ মনে করছে।
উল্লেখ্য, এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে। সংশ্লিষ্ট পক্ষের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলে তা পরবর্তী প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে।