রাকিব ইদ্রিস
রাজধানীতে পৃথক অভিযানে ছিনতাই ও ডাকাতি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তাবিউর রহমান পিপিএম স্বাক্ষরিত দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রথম অভিযানে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেলযোগে হেলমেট পরে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসা সংঘবদ্ধ একটি দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন— সাইফুল ইসলাম শাওন (৩৯) ও মো. ফারুক হোসেন (৩৮)। শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোররাত আড়াইটার দিকে উত্তরা পশ্চিমের ৭ নম্বর সেক্টরের রবিন সরণি রোডে ঢাকা আই কেয়ার হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও বিভিন্ন এনজিওর শাখার সামনে অবস্থান করে নগদ অর্থ উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করত। পরে সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেলযোগে তাদের পিছু নিয়ে ব্যাগ ও টাকা ছিনিয়ে নিত। পুলিশের ছিনতাই প্রতিরোধ টিম ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, চক্রটির আরেক সদস্য মো. জিল্লুর রহমান খানের সঙ্গে তারা একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত। গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১০টি ও ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় অভিযানে ডিবি পুলিশের ওয়ারী বিভাগের একটি দল রাজধানীর পূর্ব ধামালিয়া রাজারবাগ উত্তরা মডেল কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন— আব্দুল জব্বার (৪০), মো. মামুন হোসেন (৪০), মো. সোহাগ (৪২), মো. আবু বকর সিদ্দিক (৩৬) ও মো. সোহেল আমিন (৩১)। বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৩টা ৫ মিনিটে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত তিনটি ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, একটি ওয়াকিটকি, তিনটি ছুরি, একটি প্রাইভেটকার ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যমতে, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিএমপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং চক্রের পলাতক সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।