বিশেষ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মনবাড়িয়া :
গোষ্টীগত দন্ধ ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ০৫ জুলাই সকালে নাসিরনগরে টেটাযুদ্বে নিহত ০১ আহত ২০ । প্রতিপক্ষের বাড়িতে ঘটেছে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শনিবার সকালে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রামের মোল্লা গোষ্টি ও উল্টা গোষ্টী পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সকাল আনুমানিক ১১.০০ সময়ে জড়িয়ে পড়ে মুখোমুখি টেটাযুদ্ধে। প্রায় ১ ঘন্টা ব্যাপী চলে এই সংঘর্ষ । ঘটনা স্থলেই নিহত হয়েছে মোল্লা গোষ্টির মৃত চান মিয়ার ছেলে সোহরাব খান (২২) । গুরুতর আহত মনু মিয়া (৫০), মিজানুর রহমান (৪৫), সুজন মিয়া (২৭), বাবুল মিয়া (৪৫) এবং মফিজ উদ্দিন (৫২) কে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবুল মিয়া কে ঢাকা মেডিকেলে এবং মিজানুর রহমান ও মফিজ উদ্দিনকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, সকালের ঘটনার জের ধরে দুপরের পরই শুরু হয় প্রতিপক্ষের বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ। সংস্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মো: বাবুল মিয়া বলেন. “ আমি বাড়িতে নেই…আমার বাড়ির নীচ তলায় ভাংচুর চলছে, আমার স্ত্রী মোবাইলে আহাজারি করছে, শুনেছি এলাকায় লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ চলছে।” ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন “ ১জন মারা গেছে, ১জন মৃত প্রায় ।..লুটপাট চলছে,জুলহাসের বাড়িতে নাকি আগুন লা্গাই দিছে শুনলাম ।” চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ১জন মারা গেছে…। এখন ঐ যে ঐ পক্ষের লোকজন বাড়িতে হামলা লুটপাট করতেছে এটা আমাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছেনা…। “ নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আজহারুল ইসলাম বলেন.” ১জন মারা গেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে…।” লুটপাট চলছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,” না…না.. না… আমাদের লোকজন সেখানে আছে.. ।” পুলিশ সুপার ব্রাহ্মনবাড়িয়া এহতেশামুল হক বলেন,” ঘটনাস্থলে বাড়তি ফোর্স পাঠানো হয়েছে…. আপনাদের কেউ থাকলে ভুমিকা রাখতে বলেন, সংঘাত এড়ানো এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনই মূল কথা।"