প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০২৫, ০৫:৩১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিংগাইরে বাল্যবিবাহের সংবাদের জেরে অপপ্রচারকারী শাহেদ এর বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ। 

স্টাফ রিপোর্টার:

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বাল্যবিবাহের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে স্থানীয় দুই সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। ঘটনার পর উল্টো তাদের নামে চাঁদাবাজি ও হামলার মতো গুরুতর অভিযোগ এনে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উচুটিয়া গ্রামের বাদশা হোসেনের ছেলে মো: শাহেদ হোসেন।

জানা গেছে, গত ১৩ জুন সিংগাইরের বলধরা ইউনিয়নের কালিকাকৈর গ্রামে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়ের বিয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন  ও রুপসী বাংলা টেলিভিশনের সাংবাদিক  সুমন আহমেদ  । বিষয়টি সামাজিক ও আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব দিয়ে তারা বিয়ের সত্যতা যাচাই ও স্থানীয়দের বক্তব্য গ্রহণ করেন।

পরে স্থানীয় এক যুবদল নেতা মো. জিয়ার মধ্যস্থতায় পরিবারের সদস্যরা বিয়েটি গোপন রাখতে ও সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান। এসময় সাংবাদিকরা স্পষ্ট জানান, সংবাদটি বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত এবং এটি জনস্বার্থে প্রকাশযোগ্য। তারা কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন বা আপস-মীমাংসার অংশ হননি।

সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, "আমরা শুধু তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কোনো অর্থ দাবি করা তো দূরের কথা, আমাদের সামনেই ওই পরিবার থেকে একটি পক্ষ কিছু লেনদেন করে থাকতে পারে – কিন্তু তা আমাদের অজানা। এখন সংবাদ প্রকাশের পরই আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা চরম হতাশাজনক।"

সাংবাদিক সুমন আহমেদ বলেন, "ঘটনার দিন আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, যার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এরপর আমাদের নাম ব্যবহার করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।"

স্থানীয়রা জানান, অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ে দিয়ে ভুল স্বীকার না করে, সংবাদ প্রকাশের ভয়ে ওই পরিবার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করেছে।

এই ঘটনায় সাংবাদিক মহলে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। 'সাংবাদিকরা বলেন, প্রকৃত সত্য উদঘাটনে তদন্ত হওয়া জরুরি এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেন তারা হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি রাখা উচিত।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব পক্ষের বক্তব্য ও তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে সুষ্ঠু তদন্ত চলমান রয়েছে।এদিকে অপপ্রচারকারী ,নাবালক নাবালিকার ভুয়া জন্মতারিখ দিয়ে  বিয়ের ইন্দন দাতা এবং সরাসরি জড়িত মো: শাহেদ হোসেনের বিরুদ্ধে,বিএনপি নেতা মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মানিকগঞ্জ সদর থানার এস আই জিয়াউদ্দিন বলেন বিষয়টি আমি দেখছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়