
মোঃ রফিকুল ইসলাম
ক্রাইম রিপোর্টার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বৃদ্ধা মর্জিনা আক্তার প্রকাশ পারভিন (৬৫) ১২ দিনে ও উদঘাটন হয়নি হত্যা রহস্য।
গত ৬ ই জুন ২ নং গোপালপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড তিতা হাজরা গ্রামে মৃতের ঘরের খাটের উপর গামছা দিয়ে মুখ প্যাঁচানো অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়।মামলার এজাহারে জানা যায় উক্ত তারিখে দুপুর ১২ টা হতে বিকাল ৪ টার মধ্যে কোন এক সময় তাকে হত্যা করা হয়।
মৃতের তিন সন্তান সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী।
উক্ত হত্যা মামলার বাদী মৃতের সন্তান মোঃ কামাল হোসেন (৩৯)এর মাধ্যমে জানা যায় বাড়িতে তার মা একা বসবাস করতেন। ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য তার বন্ধু মোঃ অহিদুর রহমান সোহানের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা পাঠালে, সোহান তাদের বাড়িতে গিয়ে তার মাকে উদ্দেশ্য করে ডাকলে কোন প্রকার সাড়া শব্দ না পেলে আমাকে ফোন করে জানায়। আমি বার বার ফোন করেও আমার মাকে লাইনে পাইনি। পরবর্তীতে তার বন্ধু সোহান গ্রামের সৈকত ১৪ নামের এক ছেলেকে পাঠানোর পর সে ঘরের ভিতর ঢুকে দেখতে পায় আলমিরা খোলা, বিভিন্ন আসবাবপত্র মাটিতে পড়ে আছে,খাটের উপর পড়ে আছে গামছা দিয়ে মুখ বাধা অবস্থায় বৃদ্ধার লাশ। তার চিৎকারে এলাকার অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। এর আগে বৃদ্ধা তার নিজের ব্যবহৃত মোবাইল হতে তার প্রতিবেশী তাজমাহার বেগমের ফোনে কল করে বলেন বৃদ্ধার গাছে একটি কাঁঠাল পেকেছে তা পেড়ে দেওয়ার জন্য। স্বরেজমিনে বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে এই বৃদ্ধার দেখাশোনার জন্য রয়েছে একজন মহিলা। সর্বশেষ ওই ফোন কলটির পর হতে বৃদ্ধের সাথে আর কোন ধরনের যোগাযোগ করা যায়নি।
মৃত বৃদ্ধার সন্তান মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ও এলাকাবাসীর দাবি এ বিষয়টি অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।
স্থানীয় বেগমগঞ্জ মডেল থানা হতে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য প্রেরণ করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান জানান একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য র্যাব,কুমিল্লা হতে আগত সিআইডি, পিবিআই, এবং এ হত্যা মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আয়ু সহ বিষয়টি উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলমান।