তাহের তারেক
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল অফিসে দালালের দৌড়ত্ব এখনো থেমে নেই।
আশুলিয়া সহকারী কমিশনার( ভূমি) অফিস দালালমুক্ত করার অভিযান সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে, কিন্তু এখন দালালদের সক্রিয় রাখার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের নাজির সোহান হাওলাদার।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তারের নেতৃত্বে গত এক মাস ধরে চলা অভিযানে আশুলিয়া অফিস প্রায় শতভাগ দালালমুক্ত ।
তবে এখন নাজির সোহান হাওলাদার এই সাফল্যকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
সাদিয়া আক্তারের নেতৃত্বে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে দালালদের উৎখাত করতে সক্ষম হন।
এই অভিযানের ফলে সাধারণ মানুষ এখন বিনা বাধায় ভূমি সংক্রান্ত সেবা পাচ্ছেন। কিন্তু এই সাফল্য কিছু অসাধু ব্যক্তির স্বার্থে আঘাত হেনেছে, যারা দালালি ব্যবসাকে পুনরুজ্জীবিত করতে চায়।
নাজির সোহান হাওলাদার , যিনি পূর্বে দালালদের ব্যবসার নেতৃত্ব দিতেন , তিনি এখন অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে অপ্রচার ছড়াচ্ছেন।
তার লক্ষ্য ভূমি অফিসের সুনাম নষ্ট করে দালালদের পুনর্বাসনের পথ প্রশস্ত করা। তিনি সামাজিক মাধ্যম ও স্থানীয় স্তরে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে চেষ্টা করছেন।
সাংবাদিকরা দালালী করেন এমন অভিযোগ এনেও বিভিন্ন মহলে অপপ্রচার চালাচ্ছে এই নাজির সোহান হাওলাদার ।
অথচ দালাল দূরত্বকরণে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা তারপর থেকেই কাজ শুরু করেন সাদিয়া আক্তার সহকারী কমিশনার, (ভূমি), আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল। দালাল মুক্ত হয় ভূমি অফিস।
ভূমি মন্ত্রণালয়ও এই বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে, যাতে কোনোভাবেই দালালি ব্যবসা পুনরায় মাথাচাড়া দিতে না পারে।
আশুলিয়া ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে জনগণের কাছে আবেদন করা হয়েছে, তারা যেন দালালদের সাথে কোনো ধরনের লেনদেন না করেন।
এবং সহকারি সেবা সরাসরি অফিস থেকে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কোনো প্রকার হয়রানি বা অসাধু প্রচারের শিকার হলে তা অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধও করা হয়েছে।
এই সংকট মোকাবিলায় প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে দালালমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে।