প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২৫, ০৬:৪২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফ্যাসিষ্ট সরকারের সংসদ সদস্য শেখ হেলালের পালিত পুত্র  সুশান্ত কুমার মজুমদার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় চাকরি"বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লাঠিচার্জের অভিযোগ (পর্ব-১) 

রাজিব তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টারঃ

খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায় ৭নং সন্তোষপুর ইউনিয়নের ও সন্তোষপুর গ্রামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় চাকরি পেয়েছেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বদেব মজুমদারের পরিবারের  চার ছেলে ও মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়  বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার ৭নং সন্তোষপুর ইউনিয়নের ও সন্তোষপুর গ্রামের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বদেব মজুমদার,পিতা-মৃত: হিরণময় মজুমদার ছেলে ও মেয়েরা বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের  মাধ্যমে  টাকার বিনিময়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্ত করেছেন।

অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা  তাহার নামে যুদ্ধাহত গেজেট করিয়েছেন তাহার বড় ছেলে সুশান্ত কুমার মজুমদার। যাহার গেজেট নং-১৪৮।ফ্যাসিষ্ট সরকারের সকল প্রকার সুবিধা ভোগ করে আসছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের কোঠায় -২ (দুই) পুত্র,২- (দুই) কন্যা সরকারী চাকুরী পায়। ১) বড় পুত্র সুশান্ত কুমার মজুমদার (ফুড ইন্সটিউটর) হিসাবে কুষ্টিয়ায় কর্মরত আছেন। ২) শংকর কুমার মুজমদার কৃষি অফিস চিতলমারী কর্মরত ৩) কনিকা মজুমদার সহকারী শিক্ষিকা কাটিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪) অনিমা মজুমদার ঢাকায় সরকারী চাকরি করছেন।


 ভুয়া যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধার বড় ছেলে সুশান্ত কুমার মজুমদার ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের একান্ত অস্থাভাজন হওয়ার সুবাধে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছেন। পিতার নামে যুদ্ধাহত গেজেট করে অসাধু উপায়ে সুবিধা গ্রহন করেন।২০২৪ সালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সুশান্ত কুমার মজুমদার শেখ হেলালের ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্রদের উপরে লাঠিচার্জ করেছেন। ৫ই আগস্ট এর পরে ঘাঢাকা দিয়ে রয়েছে শেখ হেলালের লালিত পুত্র সুশান্ত কুমার মজুমদার।স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেই তিনি যুদ্ধাহত হিসাবে আক্ষা পায় এবং ১৯৯৫ ইং সালে মারা যান।এলাকা সূত্রে জানা যায় বিশ্বদেব মজুমদার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়।

বাগেরহাট উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শামছুল হক যুদ্ধকালীন এফ.এফ কোম্পানী কমান্ডার সাব-সেক্টর সুন্দরবন,তিনি একটি লিখিত প্রত্যয়ন পত্রে  বলেন যে,  প্রত্যায়নপত্র/অভিযোগ পত্র-এতদ্বারা প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, মৃত:যুঃ মুঃ বিশ্বদেব মজুমদার,পিতার নাম: মৃত- হিরনময় মজুমদার,পোষ্ট অফিস/ইউপি/পৌরসভা: এস,বাখরগঞ্জ,উপজেলা: চিতলমারী,জেলা-বাগেরহাট। স্থানীয় সূত্র মতে সে কোন মুক্তিযোদ্ধা না।আমার জানা মতেও সে/বা উপরিউক্ত ব্যক্তি আমার সাথে ছিলনা। স্থানীয়ভাবে তদন্ত করিলে যানা যাইবে,উপরে উল্লেখিত মৃত- যুঃ মুঃ বিশ্বদেব মজুমদার কিভাবে শুধু যুদ্ধাহত গেজেট করাইয়া সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা নিতেছে।বিঃদ্রঃ আমি ৯ নং সেক্টরে বাগের হাটের ১৭ ও ১৮ই ডিসেম্বর যুদ্ধ সমাপ্তের পর উপরিউক্ত নামে কোন যুদ্ধ আহত মুক্তিযোদ্ধা ছিল বলে আমার জানা নাই।

ভুয়া যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধার বড় ছেলে সুশান্ত কুমার মজুমদার   খুলনা বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তার অধীনস্ত চাকরি করছেন ফুড ইন্সপেক্টর হিসেবে। বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি জানিনা তবে আমি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সুশান্ত কুমার মজুমদারের কাছে তথ্য জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন কোন নিউজ করা লাগবে না আমি আপনার সাথে দেখা করব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়