মোঃ রফিকুল ইসলাম
নোয়াখালী
জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলায় বাজারের ব্যস্ততম অংশে অবস্থিত হাইওয়ে সড়কের এ সেতুটির পশ্চিমের অংশ দীর্ঘ সময় হতে ভুতুড়ে অদৃশ্য কারণে ব্যবহৃত হচ্ছে না।
সরে জমিনে দেখা যায় সেতুটির,দক্ষিণ পশ্চিমাংশে সোনাইমুড়ী সাব রেজিস্ট্রি অফিস, উত্তর পশ্চিমাংশে সোনাইমুড়ী বড় মসজিদ অবস্থিত। সেতুটির দক্ষিণ পূর্ব অংশে বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলী টাওয়ার এর অবস্থান। এ বাণিজ্যিক কেন্দ্রটির আন্ডার গ্রাউন্ডে রয়েছে সোনাইমুড়ি উপজেলা প্রেসক্লাব। সেতুটির নিকটে উত্তর পশ্চিমাংশে হাইওয়ে রোড সংলগ্ন রয়েছে সোনাইমুড়ি প্রেসক্লাব।
সোনাইমুড়ি প্রেসক্লাব হতে নিকট অদুরে উত্তর পশ্চিমাংশে সোনাইমুড়ি সরকারি ডিগ্রী কলেজ।
সেতুটি সংলগ্ন উত্তর পূর্বাংশে রয়েছে রেলস্টেশনের সাথে সংযোগ শাখা সড়ক।
এ সেতুটি রক্ষা করে চলছে পুরো সোনাইমুড়ি বাজার, এই এলাকার জনসাধারণের যাতায়াত, তথা পরিবহনের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সরে জমিনে দেখা যায় সেতুটির পশ্চিমের অংশে গড়ে উঠেছে ফল,ফুড কার্ট, ও অন্যান্য ব্যবসা। সেতুটির পশ্চিমের অংশ দিয়ে চলাচল করে না কোন প্রকার যানবাহন।
পূর্বের অংশ দিয়ে চলাচল করছে উভয় দিকের যানবাহন গুলো। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।
সেতুর পশ্চিমের এই অংশটিতে,যানবাহন না চলার কারণে, সেতু সংলগ্ন দক্ষিণ পশ্চিম অংশে হাইওয়ে সড়কের উপরেই চলছে আরো বেশ কিছু ফলের দোকান।
ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা নিয়োজিত ব্যক্তিটিরও মনে হয় এ বিষয়গুলো দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না।
সেতুটির পূর্বাংশ দিয়েই চলাচল করেন উপজেলার সরকারি গাড়িগুলো। এ যেন এক নিয়মেই পরিণত হয়েছে,বলে অভিযোগে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে এ দোকানদার গুলোকে এখানে সেতুর উপরে ব্যবসা করার বিষয়ে নিষেধ করলে তারা গায়ের দিকে তেড়ে আসেন। আমরা সাধারণ মানুষ, জিম্মি হয়ে এলাকায় বসবাস করছি। কতেক জনসাধারণ উক্ত বিষয়ে ভয়ে এ প্রতিবেদকের নিকট উক্ত বিষয়ে তাদের মন্তব্য জানাতে পর্যন্ত চাননি।
উক্ত সেতুর যান চলাচল বন্ধ করে ব্যবসার বিষয়ে জানতে চাইলে, সরে জমিন বার্তা প্রতিনিধিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন,আমরা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ উক্ত সেতু,সহ সড়কের বিভিন্ন অংশের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ভাসমান হকারদের উচ্ছেদে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি অচিরেই তা বাস্তবায়ন হবে। সোনাইমুড়ি, চাটখিলের নিয়োজিত টিএস আই মোঃ গোলাম নবী বলেন ইতিমধ্যে আমি উক্ত সেতুর ওপর এবং সেতুর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে অবস্থিত হকারদেরকে দোকান সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কঠোর ভাবে বলে দিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়ে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।