প্রকাশিত : ০৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাভারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মানের কাজ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান

তাহের তারেক 

ঢাকা জেলার সাভার উপজেলাধীন আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তার কাজ করায় এলাকাবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন  সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান। 

রবিবার (২নভেম্বর) বিকেলে আশুলিয়ার আরিচা মহাসড়কের পাশে নয়ারহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজারের ভিতর দিয়ে চাকলগ্রাম তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত চলা রাস্তার কাজে নিন্মমানের ইট, বালু ও পুরাতন ইট দিয়ে কাজ করছিলেন মোঃ মিরাজ হোসেনের মালিকানাধীন মুরাদ এন্টারপ্রাইজের লোকজন। 
 গণমাধ্যম কর্মীরা সরে জমিনে দেখতে গেলে নির্মাণ শ্রমিকরা তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা  এল জি আর ডি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে  একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি কোন ফোন  রিসিভ করেননি 
রাস্তার কাজের দায়িত্বে থাকা আব্দুল কুদ্দুছকে গণমাধ্যম কর্মীরা জিজ্ঞেস করলে বলেন আমি সাব কন্ট্রাক্টে কাজ করছি। এখানে আমার কোন কন্টাকটারি কাজের কোন লাইসেন্স নেই তবে আমার দেশের বাড়ি  বরিশাল সেখানে একটি ট্রেড লাইসেন্স আছে। 
এখানে রাস্তা নির্মাণ ব্যাবহার করা সামগ্রী গুলো বৃষ্টিতে সামান্য নষ্ট হয়ে গেছে এবং অনেকদিন ফেলে রাখায় শেওলা পড়েছে। তবে রাস্তায় ব্যবহার করা ইটগুলো নাকি  ভালো  বলে তার দাবি। 
স্থানীয়দের অভিযোগ  নিন্মমানের ইট, বালু , রাবিশ দিয়ে কাজ করায়  এখনি রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আমাদের ট্যাক্স এর টাকায় নির্মাণ করা রাস্তায় অনিয়মের কারণে ৩ মাস যাওয়ার আগেই তা নষ্ট হয়ে যায়। যার জন্য দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাতে হয় জনগনকে। যারা এই ধরনের অনিয়ম করে কাজ করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান এলাকাবাসীরা। এ সময় 
মুক্তিযুদ্ধা আওলাদ হোসেন বলেন, নির্মাণাধীন রাস্তাটির অপরপ্রান্তে ৭ দিন আগে ঢালাই করা হয়েছে। কোন পানি না দিয়ে শুধু ঝুট বিছিয়ে রাখায় সেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ধরনের অনিয়মকারী ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিলসহ জামানত বাজেয়াপ্ত করার দাবী জানান তিনি। 

স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, রাস্তাটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাককে ম্যানেজ করে সাবকন্ট্রাক্টর নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে। এর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে কোন নজরদারী করছেনা আব্দুর রাজ্জাক। কমিশন খেয়ে কাজের দেখভাল না করায় ঠিকাদার নয়ছয় করার সুযোগ পেয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন, আমরা প্রথমে পুরাতন ইট দিয়ে কাজ করায় সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন নতুন ইট দিয়ে কাজ করছি তবুও স্থানীয়রা কাজের মান খারাপ হওয়ার অভিযোগ করেছেন। ইউএনও যদি কাজ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা আর কাজ করবো না। 

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঠিকাদারের লোকজনকে তাদের কাগজপত্র নিয়ে উপজেলায় আসতে বলেছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়