রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : আবু সালমান
প্রায় দুই বছর আড়াই মাস পর ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪২০ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
নতুন ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ৫৫ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৯২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ৬৩ জন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ৬৪ জন এবং সদস্য পদে রয়েছেন ৬২ জন নেতা।
এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সন্তান জিহান আব্দুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে।
তিনি রামগতি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবি আব্দুল্লাহ’র ছোট ছেলে।
রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা জিহান দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং সংগঠনের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি জুলাই আন্দোলনে তাঁর সাহসী ভূমিকা ছাত্রদলের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্বে স্থান পাওয়ায় রামগতির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জিহানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন—তিনি সংগঠনের আদর্শ ধারণ করে শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
জিহান আব্দুল্লাহ বলেন—
> “আমি স্কুল জীবন থেকেই বিভিন্নভাবে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম—২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে শুরু করে সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, ছাত্র রাজনীতি থেকেই দেশের জন্য যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্ব উঠে আসে।
তিনি আরও বলেন—
> “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলই সেই সংগঠন, যা আমাদেরকে ছাত্রসমাজের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ দেয় এবং দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। রাজনীতির কোনো শেষ নেই—এটি এক ধারাবাহিক দায়িত্ব ও প্রতিজ্ঞা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা যেন আমি যথাযথভাবে পালন করতে পারি, সেটিই আমার অঙ্গীকার। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আমি সবসময় আপোষহীনভাবে কাজ করে যাব।”
নিজের রাজনৈতিক প্রেরণার কথা জানিয়ে জিহান বলেন—
> “আমার প্রেরণার মূল উৎস শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ এবং বিএনপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতি। আমি সেই আদর্শ নিয়েই ছাত্রদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।”
শেষে তিনি বলেন—
> “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমই জাতির প্রকৃত শক্তি। সেই শক্তির ভিত্তিতেই আমি তারেক রহমানের প্রণীত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই। কারণ এটি শুধু একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনা নয়, বরং একটি উন্নত, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপরেখা। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে আমি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যেতে চাই।”
সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত থেকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নিবেদিত এই তরুণ নেতৃত্বের জন্য রামগতি তথা লক্ষ্মীপুর গর্বিত।