প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:৪৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টিআর-কাবিখা প্রক‌ল্পে অ‌নিয়ম: কাজ না করেই অর্থ তুলে নেওয়ার অভিযোগ

মো:এমদাদুল হক

ব্যুরো প্রধান,কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে সরকারি টিআর (টেস্ট রিলিফ), কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ও কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পে  অনিয়ম ও দুর্নীতির অ‌ভি‌যোগ উঠে‌ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে নেওয়া এসব প্রকল্পের অধিকাংশ কাজই হয়নি। তবু কাগজে-কলমে প্রকল্প সম্পন্ন দেখিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার বরাদ্দ তুলে নেওয়া হয়েছে। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ১০০ টাকা নগদ অর্থ ও ২৬.৪০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি,এসব প্রকল্পের অধিকাংশই বাস্তবে দৃশ্যমান নয়।

সূত্র জানায়, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন সংযোগ, জানালা-দরজা স্থাপন, চেয়ার, টিউবওয়েল ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দৃশ‌্যমাণ কোনো কাজের প্রমাণ পাওয়া যায়‌নি।

উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কল্লোল জানান,“গত দুই বছরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো উন্নয়ন কাজ হতে দেখিনি। বরাদ্দ বা প্রকল্পের বিষয়ে আমাদেরও কিছু জানানো হয়নি।”

স্থানীয়দের অভিযোগ,একইভাবে পুরাতন কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কালি পাড়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও সোলিংকরণের জন্য ৯.৫ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোনো সোলিংকরণের চিহ্নই নেই। কাগজে কাজ দেখিয়ে বরাদ্দের গম আত্মসাৎ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ বলেন,“এত অল্প টাকায় পুরো কাজ করা সম্ভব নয়। আমি সব কাজ করেছি। পুরাতন কুষ্টিয়ার কালিতলার রাস্তার সোলিং হয়নি, কারণ মাটি বেশি দিতে হয়েছে। সাইড দিয়ে বস্তা দিয়ে বেঁধে দিয়েছি।”

ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিষয়ে তিনি বলেন,“ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনে বরাদ্দের টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বর্তমানে হরিপুর থেকে রশিদ মোড়ে চিকিৎসা কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়েছে।”

সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নিউটন বাইন বলেন,“অভিযোগগুলো আগে তদন্ত করে দেখব, তারপর বক্তব্য দিতে পারব।”

অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ জামান বলেন,“টিআর-কাবিখা প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়