প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুয়েত প্রবাসী কর্মী সাজ্জাদ ৬০ দিন পর প্রতারিত হয়ে দেশে ফিরছেঃ

প্রবীর কুমার তালুকদার সুজিৎ, বিশেষ প্রতিবেদকঃ 

স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকরা মধ্যপ্রাচ্যে কুয়েত, সৌদি, দুবাই সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের জন্য যেতে শুরু হয়ে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রবাসী আয়।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কুয়েত সহ বিভিন্ন প্রবাসী শ্রমিক প্রতারিত হয়ে দেশে ফিরছে। ভালো বেতনের চাকরির আশায় শত শত মানুষ বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। কিন্তুু বাস্তবে গিয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে  খালি হাতে বাংলাদেশের মালিক সেজে তাদেরকে দেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কুয়েতি মালিক সরল স্বভাবের কারণে বাংলাদেশর দায়িত্ব প্রাপ্ত মালিক হাবিব একটি কোম্পানি খুলে  শত শত ভিসা বের করে অবৈধ সম্পদের মালিক হন। তারপর থেকে কুয়েত লোক নিয়ে  জোর করে তাদের মিথ্যা কথা বলেন,  হাবিব বলেন তোমরা কি ভাবে এলে আমিতো কোন টাকা পাইনি। হাবিব কি টাকা ছারা ভিসা দিয়াছে..? কুয়েতে খবর নিয়ে যানা যায় তিনি শ্রমিকদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।  সম্প্রতি  গোপালগঞ্জ জেলার সাজ্জাদ সিকদার নামে এক শ্রমিককে দেশে পাঠাইয়া দিয়াছে। যানাযায় গত ২৬ আগষ্ট ২০২৫  সাজ্জাদ কুয়েতে যান।  ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এয়ারপোর্টে সাজ্জাদকে নিতে মালিক পক্ষ কেহই আসেননি। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে এক বাংলাদেশি ভাই তাকে দুইতিন তার কাছে রেখে সাজ্জাদ সিকদার এর কোম্পানির খোঁজ মিললে তাদের কাছে রেখে আসেন। কিন্তুু সুচতুর হাবিব ও তাঁর ভিসার ব্যাবসায়ী সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধান   ১, হাবিব মোল্লা ,  যার পাসপোর্ট নাম্বার  A 14166965 ( বরিশাল, বর্তমান সাভার),  ২, আতিকুর রহমান, যার পাসপোর্ট নাম্বার EN O220703, ( নরসিংদী ),  ফারুক,  যার পাসপোর্ট নাম্বার A18209007 ( নরসিংদী), নজরুল খান,  যার পাসপোর্ট নাম্বার A17907627, ( নবাবগঞ্জ, বর্তমান সাভার)।  সাজ্জাদ সিকদার যাওয়ার পরপরই বিভিন্ন কথা বলেন হাবিব জানান তুমি কি ভাবে এসেছ আমি কোন টাকা পাইনি তাই বৈধ ভিসা হওয়া সত্বেও গত ২৪ অক্টোবর ২০২৫ সাজ্জাদকে দেশে পাঠিয়েদেন এই চক্র।  এই ভিসা ব্যাবসায়ীদের দ্বৈরত্ব এতই ভয়ংকর যে তাঁরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মিথ্যা কথা বলে কুয়েতিকে দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে । সময় এখনই এই মুখোশ ধারী ভিসার দালালদের হাত থেকে শ্রমিকদের বাঁচান!  বাংলাদেশ দূতাবাস শ্রমিকদের  কল্যাণে কাজ করবেন এবং সাজ্জাদ সিকদার এর যে ক্ষতি হয়েছে এর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ সমাধান করে গরীব অসহায় দরিদ্র সাজ্জাদ সিকদার এর পাশে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত সার্বিক সাহায্য করে উপকার করবেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার আশা করেণ।  গত ১ জুলাই ২০২৫ বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত কতৃক বৈধ ভিসা হওয়ায় সই করেন তারপর ও ভিসা  ব্যাবসায়ী শ্রমিকদের কুয়েত নিয়ে মিথ্যা কথা বলে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস এই ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে ভুক্তভোগী শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করবেন।  ভিসার দালালদের হাত থেকে শ্রমিকদের বাঁচান! । এই সব ভিসার দালালের থেকে গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষের অর্থ আদায় করে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার।   আজ এই সব ভিসার দালালদের জন্য বহিবিশ্বে সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। কুয়েতের  শ্রমবাজারে সংকট মোকাবেলায়  বাংলাদেশ দূতাবাস ও কূটনৈতিক তৎপরতা জরুরি। সাজ্জাদ সিকদার কুয়েতে না খেয়ে দীর্ঘ দিন অতিবাহিত করেছে হাবিব ও তাঁর ভাই সহ তাকে রুম থেকে বের হতে দিতেন না। তারপর সাজ্জাদ সিকদার কুয়েত এমবাসিতে যেয়ে তার লাইসেন্স এর ফি জমা দিয়ে এসেছিলেন ৫ দিনার না থাকায় আর সামনে এগিয়ে যাননি। হঠাৎ ২৪ অক্টোবর ২০২৫  জোর ও ভয়ভীতি দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেন সাজ্জাদ সিকদারকে। কুয়েতের প্রায় দু হাজার দিনার( ২০০০/-) খরচ করে কুয়েত গিয়াছিলেন। একটু সুখী- সুন্দর  জীবনের জন্য!  আমরা যানি মধ্যপ্রাচ্যের দেশে অবৈধ ভিসা হয় না!  তারপর কেন মানুষ ছল-চাতুরী মাধ্যমে মানুষকে ঠকায়! এদিকে,  ব্র্যাকের তথ্য অনুযায়ী গত আট বছরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে  ফেরত আশা ৩৫ হাজারের ও বেশি মানুষকে জরুরি সহায়তা দিয়াছে কিন্তু কুয়েত থেকে ফেরত আশা মানুষ গুলো বড় অসহায়!  দেখার কেউ নেই!  সূএ মতে শুধু ২০২৪ 
সালেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪০ জন প্রবাসীকে  উদ্ধার করা হয়েছে । 
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ( আই এল ও) তথ্য বলছে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ বিদেশ যান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশই দালাল ও অনিয়ন্ত্রিত এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হন। 
হাবিব গং দালাল চক্র ও অনিয়ন্ত্রিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে।  ফিরে আশা সাজ্জাদ সিকদার এর আর্তনাদে আকাশ ভারি হচ্ছে। দালালরা এতই সুচতুর যে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন আর দালালরা বেতন কমিয়ে কুয়েতিদের দিয়ে ভিসা বের করে সঠিক বেতন দিচ্ছেন না। এক সূএে যানাযায় ডেলিভারি ম্যান ড্রাইভার বেতন ১২০/ ১৫০ দিনার আট ঘন্টার জন্য প্রযোজ্য! কিন্তুু বাংলাদেশের দালাল তাদের বারো ঘন্টায় বেতন দিচ্ছে ১২০ দিনার তারপর আর অনেক তথ্য জুরে দিচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত সার্বিক সাহায্য করবেন বলে শ্রমিকরা আশা ব্যাক্ত করেন। এতে দালালদের দৌরাত্ম কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশে কর্মসংস্থানের আশায় দালাল ও এজেন্সির ফাঁদে পরে যে হারে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা ; প্রতারণা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে  প্রবণতা আরও বাড়বে এবং দেশের শ্রমবাজার ও প্রবাসী আয়ের উৎস নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দালাল হাবিব গং এর খুঁটির জোর কোথায়...?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়