মোঃ তারিকুল ইসলাম তুহিন,জেলা প্রতিনিধি,মাগুরাঃ
সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুজা উৎসব
ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নি পূজায়।
মাগুরায় প্রতিটি মন্দির সেজে উঠেছে এক শৈল্পিক মহিমায়। শহর জুড়ে সাজিয়েছে দৃষ্টি নন্দন আলোকশয্যায়।
দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে এশিয়া বিখ্যাত পাঁচ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পুজা শেষ হবে ৩১ শে অক্টোবর। উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরো শহরজুড়ে এখন সাজে সাজে রব।
নজর কাড়া ডিজাইন ও শিল্পীর নিখুঁত ছোঁয়ায় তৈরি প্যান্ডেল ও মাতৃপ্রতিমা দেখতে ষষ্ঠীর সকাল থেকেই প্রতিটি মন্দিরে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। পুরানো ঐতিহ্যকে ধারণ করে অনেক মন্দিরে দেখা গেছে বৈচিত্র্য, আবার কোথাও নতুনত্বে ভরপুর শিল্পকর্মে ভাসছে আনন্দের আমেজ।
দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ কেড়েছে নিজনান্দুয়ালির নিতাই গৌর গোপাল সেবাশ্রমের প্যান্ডেলটি। দূর থেকে মনে হবে যেন হাওয়ায় ভাসছে এই নান্দনিক প্যান্ডেল। নতুন বাজার ঢালাই ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ৯০ ফিট উচ্চতা ও ৩০ ফিট প্রস্থের প্যান্ডেলটি নিখুঁত ডিজাইন ও কারুকার্যে সত্যিই অনন্য এক সৃষ্টি।
সৃজনশীল চিন্তা, পরিকল্পনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে ফুটে উঠেছে পুরনো সেই শৈল্পিক ঐতিহ্যের পুন:র্জাগরণ। তাদের নান্দনিক উপলব্ধি ও মননশীল সৃজনশীলতায় মাগুরা আবারও হয়ে উঠেছে উৎসবের শহর—ঐতিহ্য, আলো ও আনন্দে ভরপুর এক শিল্পমঞ্চ।
মাগুরায় ৪টি উপজেলা মাগুরা সদর সহ, শ্রীপুর, শালিখা, মহম্মদপুর এবছর ৯৩টি মন্দিরে পূজা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পৌরসভা সহ মাগুরা সদর উপজেলাতে ৪৬টি(২৪+২২), মহম্মাদপুর ১২টি, শ্রীপুর ১০টি ও শালিখাতে ২৫টি পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পুজায় পুলিশ, আনসার, র্যাব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার সার্থে মাগুরা প্রশাসন রেখেছে বিনিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চালু করেছে বিশেষ হট লাইন ও চব্বিশ ঘণ্টা নিরাপত্তার ব্যবস্হা।