আসমা খাতুন (শিরিন)
‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৬ অক্টোবর বুধবার নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন করেছে মানব কল্যাণ পরিষদ।
সংগঠনটির উদ্যোগে আয়োজিত র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। নারী উদ্যোক্তা ও বিউটি এক্সপার্ট ইফফাত আরা সাকিয়ার সাবলীল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া।
তিনি বলেন,
“গ্রামীণ নারীরা শুধু পরিবার নয়, সমগ্র সমাজ ও দেশের উন্নয়নের চালিকা শক্তি। আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও পরিবেশ সংরক্ষণে তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং বৈষম্য দূর করে তাদের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।”
তিনি আরও বলেন,
“বর্তমানে নারীদের নিয়ে সামাজিক ও মানবিক কাজ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। সমাজে কিছু দুষ্টচক্র অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রশাসনের উচিত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। আমরা কোনো অপপ্রচারকে ভয় পাই না— সততা ও ভালো কাজের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ আলোকিত হবে ইনশাআল্লাহ।”
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী উদ্যোক্তা ও মেকআপ আর্টিস্ট আফসানা অন্নি, স্কুল শিক্ষিকা দিনাত জাহান, স্বেচ্ছাসেবক সদস্য শিউলী বেগম, প্রশিক্ষণার্থী রোকসানা আক্তার কলি, নাজমা আক্তার, ইসরাত জাহান মুনা, লিজা বেগম, রেশমি আক্তার, জান্নাত আরা মুনমুন, হুমায়রা আক্তার, নুসরাত জাহান নিরা, সোহানা আক্তার, উম্মে সুফিয়া হ্যাপী, নুসরাত হোসেন নিশু, তানজিলা আক্তার মিতা, চায়না আক্তার ও নুসরাত জাহান সাদিয়াসহ আরও অনেকে।
উপস্থিত বক্তারা বলেন,
“গ্রামীণ নারী উন্নত হলে পরিবার ও সমাজ উন্নত হয়। তাই নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষণ ও সহায়তার পরিধি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।”