হাফিজুর রহমান গাজীপুর
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমকে ঘিরে এক আয়োজন, এক প্রত্যয়, এক প্রেরণার নাম—যেখানে মিলনমেলায় পরিণত হয় গাজীপুরের প্রতিটি প্রান্ত। সভার প্রধান অতিথি, বিএনপির আপসহীন কণ্ঠস্বর, এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ তাঁর বক্তব্যে সাফ জানিয়ে দেন—দল হবে কর্মীর, ত্যাগীর, মাঠের মানুষের; দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, কিংবা সমাজের আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের স্থান বিএনপিতে হবে না। সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগরের নির্ভরতার প্রতীক শওকত হোসেন সরকার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ, মনজুরুল করিম রনি। বক্তব্যে কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল যে গভীরতা নিয়ে স্মরণ করেন মরহুম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ ও অধ্যাপক এম এ মান্নানের অবদান, তা কৃতজ্ঞতার রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, তাদের নাম ছাড়া বিএনপির রাজনীতি গাজীপুরে অসম্পূর্ণ। বিশেষ অতিথির তালিকায় থাকা নেতৃবৃন্দ—বেনজির আহমেদ টিটো, নজরুল ইসলাম আজাদ, জাকির হোসেন নান্নু ও ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রত্যেকে এ আন্দোলনের ভরসার ছায়া। গাজীপুরকে শিল্পাঞ্চলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে তুলে ধরে রিজভী আহমেদ বলেন, বিশ্বাস আছে—এখান থেকেই বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংখ্যা নতুন করে ৪ থেকে ৫ লাখে উন্নীত হবে। জেলখানার দেয়ালের স্মৃতি টেনে এনে তিনি বলেন, কাশিমপুর, কেরানীগঞ্জ ছিল আমাদের ঠিকানা; আর সেই দুঃসময়ে যারা পাশে ছিল, ইতিহাস তাদের মনে রাখবে। একইসাথে ইউনুস সরকারের নেতৃত্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কালো ধারাগুলোর বাতিল করাকে সাধুবাদ জানান। সর্বোপরি, এই সভা শুধু সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম নয়—এ এক নব জাগরণ, নব প্রত্যয়, একটি দৃঢ় সংকল্প—বিএনপিকে জনতার দলে রূপান্তর করার।