
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ সুমন আহম্মেদ
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীন শারদীয় দূর্গাপুজা-২০২৫ উপলক্ষে মানিকগঞ্জে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ বছর দেবী দূর্গা গজে চড়ে আগমন করবেন এবং দোলনায় চড়ে বিদায় নেবেন।
এই মহা উৎসবকে ঘিরে পুরো জেলায় আনন্দ-উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।পুজামন্ডপের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্যরা রয়েছেন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে।
আনসার ও ভিডিপি, মানিকগঞ্জ এর জেলা কমান্ড্যান্ট কামরুজ্জামান বলেন,“জেলার মোট ৫৩৯ টি পুজামণ্ডপ ও ১টি কালী মন্দিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে আমাদের সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। এ কাজে ৩৪৪০ জন আনসার সদস্য দিন-রাত সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। পুলিশের পাশাপাশি আমরাও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত আছি।”
তিনি আরও বলেন,“সাধারণ জনগণের প্রতি আমাদের বিশেষ অনুরোধ— কোথাও সামান্যতম ঝুঁকি বা সন্দেহজনক কিছু নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জানাতে হবে।”
সরেজমিনে বিভিন্ন পুজামন্ডপে পরিদর্শনে জানা যায়, পুলিশ ও আনসার বাহিনী যৌথভাবে নিরাপত্তা শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশি টহলের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক পুজামন্ডপে অবস্থান করে পুজামন্ডপ পাহারার মাধ্যমে নিরাপত্তাঢ কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় পুজামণ্ডপগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিটি মণ্ডপে নিয়মিত টহল, পাহারা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বিশেষ করে পুজার ভিড় বাড়ার সময় পুজার্থীদের নিরাপদে পুজামন্ডপে প্রবেশ ও প্রস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে বাড়তি আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। নারী, শিশু ও প্রবীণদের নিরাপত্তায়ও নজর দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীর সদস্যরা।
জেলা কমান্ড্যান্ট কামরুজ্জামান আরো বলেন,সাধারণ জনগণকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি না করা, সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ বা আনসার বাহিনীকে জানানো, পুজামণ্ডপ এলাকায় আতশবাজি বা দাহ্য পদার্থ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখা— এ সবই জনগণের মৌলিক দায়িত্ব।
মানিকগঞ্জ জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, মানিকগঞ্জ জেলায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার-ভিডিপি বাহিনীর কঠোর নজরদারি এবং জনসাধারণের সহযোগিতায় এবারের দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায় ।জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুজার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পুজা উদযাপন করতে পারে, সে জন্য আনসার ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টা প্রশংসনীয় বলে তারা মন্তব্য করেছেন।