প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৫, ০৯:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কমলনগরে নদীর বালু বিক্রির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে, হুমকিতে ৫০০ বসতঘর

রামগতি(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:আবু সালমান

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চরকাদিরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বে ভুলুয়া নদী থেকে বালু বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।  গত একমাস ধরে তিনি দলের নাম ভেঙে  অবৈধভাবে চওড়ামূল্যে ঠিকাদার ও বসতবাড়ীর কাজে এবালু বিক্রি করে আসছেন। তার এমন কাণ্ডে সর্বস্তরের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। উপজেলা চরকাদিরা ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডে ডাক্তার পাড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ২ থেকে ৩ লাখ ঘনমিটার বালু বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও  ভূমি অফিসকে আর্থিকভাবে ম্যানেজ করেই অবৈধ একার্যক্রম করে আসছেন তিনি।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,  উপজেলা চরকাদিরা ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়া এলাকায় গত একমাস ধরে বিএনপির চরকাদিরা ইউনিয়নের সভাপতি  আনোয়ার হোসেন হিরন হাওলাদার ও সেক্রেটারী আবদুর রহিম মেম্বার দুজনে ক্ষমতার প্রভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন। এতে মালেক মেম্বার সড়কের কাঠের ব্রীজ সংলগ্নে প্রায় পাঁচ শতাধিক বসতঘর মারাত্মক হুমকিতে।  
এছাড়া ৩নং ওয়ার্ডের বিএনপির মহিলা দলের নেত্রী  রেহেনা বেগম, সাবেক ছাত্রদলনেতা  আবুল কালাম আজাদ ও যুবদলনেতা মো. ইউছুফের নেতৃত্বে ভুলুয়া নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে  বালু তুলে দিনের পর দিন বিক্রি করে আসছেন। ভুক্তভোগী মো. আরিফ , মো, ইউছুফ,  খতিজা বেগম ও মোঃ জামাল  উদ্দিন বলেন, ভুলুয়া নদী পাড়ে আমাদের বসতঘর। আমাদের চারদিকে যেভাবে বালু উত্তোলন করছে এতে আমাদের বসতঘর যে কোন সময়ে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যারা বালু উত্তোলন করছেন তারাতো বিএনপির নেতা। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই। এবিষয়ে  জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।  
অভিযোগ অস্বীকার করে চরকাদিরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিরণ হাওলাদার বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছি। এই জমি আমাদেরই পারিবারিক লোকের জমি। ভুলুয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের প্রশ্নই উঠে না।  বালু উত্তোলনকারীদের অন্যান্যদের একই দাবি। তারা তাদের ক্রয়কৃত জমি ও আত্মীয়স্বজনের জমি থেকে বালু তুলছেন। সরকারি জায়গা থেকে নহে বলে তাদের দাবি।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহাত উজ জামান বলেন, ভুলুয়া নদী থেকে অবৈধবাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়েছি। এবিষয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারী কমিশনারকে  ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য বলেছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়