
মুহাম্মদ রাসেল মিয়া, সখীপুর ( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি।
উপজেলার সবকটি ইউনিয়নেই প্রায় ২১ দিন যাবত গরুর ভাইরাস জনিত লাম্ফিস্কিন ও ক্ষুরা রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে অধিকাংশ খামার ও সাধারণ কৃষকের পালিত গরুর মধ্যে।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার যাদবপুর,হাতিবান্ধা, গজারিয়া,বহুরিয়া ও কাঁকড়াজান ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ খামার ও সাধারণ কৃষকের গরু কোনটি লাম্ফিস্কিন, কোনটি ক্ষুরা আবার কোনটি উভয় রোগে আক্রান্ত। এরমধ্যে মারাও গেছে অনেক গরু। যাদবপুর ইউনিয়নের ঘেচুয়া গ্রামের আসাদুজ্জামান (আক্কাস মেম্বার) বলেন,"এই রোগে আমার একটা এক বছরের কম বয়সী এরে বাছুর মারা গেছে।" একই গ্রামের বজলুর রহমানের মারা গেছে একটি গরু যার বয়স প্রায় নয় মাস।
এব্যাপারে সখীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মোঃ সাইদুর রহমান দৈনিক সরেজমিন বার্তাকে জানান,"সারা দেশেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। খামারিদের অসচেতনতার কারণেই এই রোগ দু'টি হয়ে থাকে। প্রতি ছয় মাস অন্তর টিকা দিতে পারলে এই রোগ হতে গরু বাছুর রক্ষা করা সম্ভব। আর যদি এ রোগে একবার আক্রান্ত হয়ে যায় তখন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রাণির দেহে ভাইরাস অবস্থান করে।এ সময় নিয়মিত জ্বরের ঔষধ সেবন করাতে হবে। আতঙ্কের কারণ নেই।"
উপজেলায় কতটি গরু মারা গেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ,"নির্দিষ্ট সংখ্যা আমাদের জানা নেই।"
তবে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন যদি সরকারি ভাবে প্রতিটি গ্রামে গিয়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা যায় তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা হবে।