নুর আহাম্মদ মিলন, লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা ০৩ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তাদের প্রশ্ন, "প্রিপেইড মিটারে ডিউ বিল কীভাবে হয়?" — এমন অসঙ্গত প্রশ্ন রেখে তারা দুর্নীতির প্রতিবাদে মুখর হন। পিডিবি লক্ষ্মীপুরে নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিনকে অপসারণের দাবি করেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ বহু ক্ষুব্ধ গ্রাহক।
বক্তারা অভিযোগ করেন, পিডিবি লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের ঘুষ ও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গত ২২ জুন হঠাৎ করেই ২০০-র বেশি প্রিপেইড মিটার লক করে দেওয়া হয়, ঘুষ না দেওয়াতেই এসব মিটার লক করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
লিখিত অভিযোগে ১৬টি গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি মিটার ও ট্রান্সফর্মার ব্যবহারের নামে গ্রাহকের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ, এল.টি সংযোগের ভয় দেখিয়ে বাড়তি অর্থ আদায়, সরকারি মালামাল বিক্রির অভিযোগ, একক ঠিকাদারকে বারবার কাজ দেওয়া, মিটার পরিবর্তন ও সংযোগে ঘুষের প্রচলন, এবং সরকারি ফ্রি সেবার নামেও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনা।
বিশেষ করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেমন শিশু পার্ক, বারাকাহ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল, সাবেক এমপি লাইলীর পিএস মামুনের ভবন, হ্যাফি রোড, আব্দুল গনি হেডমাস্টার রোড, এনআর গ্রীন টাওয়ার, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর ৩৩ কেভি লাইন, ইত্যাদি স্থানে এসব অনিয়মের উদাহরণ তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও অভিযোগ ওঠে, নতুন সংযোগ, লোড বৃদ্ধির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়, যা সরকারি নিয়মে সামান্য ফি-তে হওয়ার কথা। অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ঠিকাদার ‘সবুজ’ এর মাধ্যমে কাজ করিয়ে থাকেন এবং অন্যান্য ঠিকাদারদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়ে দেন।
সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, আগামী সোমবার জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগপত্র প্রদান এবং পিডিবি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।