প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২৫, ০৪:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাকৃবিতে উচ্চ লবণ সহিষ্ণু গমের নতুন জাত 'জিএইউ গম ১' উদ্ভাবন

মোঃ হাফিজুর রহমান গাজীপুর 

 

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ঐতিহ্যবাহী কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রখ্যাত দু'জন কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং প্রফেসর ২. মোঃ মনিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে সফল গবেষণার মাধ্যমে সম্প্রতি উদ্ভাবিত হয়েছে একটি নতুন গমের জাত 'জিএইউ গম ১'। উচ্চ লবণাক্ততা (১২ ডিএম/এস) সহনশীলতার দিক থোড দেশে এটিই প্রথম উদ্ভাবন যা ব্যতিক্রমী সংযোজন হিসেবে পরিগণিত হাচ্ছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য অধিক কার্যকরী প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এই নতুন আরটি লবণাক্ততা সহনশীল, উন্দ্রবলনশীল ও অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ। অপার সম্ভাবনাময় এ উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাকৃবির মোট উদ্ভাবিত জাভের সংখ্যা ৯১টি তে পৌঁছলো যা বাংলাদেশের কৃষিতে এক নতুন সম্ভাবনার হায় উন্মোচন করলো। গারুবির গবেষণা মাঠে দীর্ঘদিন গবেষণ্য ও ফলন পরীক্ষার পর ২০২১ থেকে ২০২৩ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষকের মাঠে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ও উচ্চ ফলনশীল হিসেবে প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দেশের ৬টি স্থানে মাঠ মূল্যায়নে প্রস্তাবিত জলন পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফলের সুপারিশের প্রেক্ষিতে জাতীয় বীজ বোর্ড গত ১৭জুন ২০২৫ আরিখে এ জিএইট গম ১ এর ছাড়পত্র দেয়। এ গমে বিদ্যমান অধিক মোটিন শরীর গঠন ও মেরামত, শক্তি সরবরাহ, ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরেখে অধিক নহায়তা করে থাকে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ছুটেনিন থাকায় এটি উচ্চ প্রোটিন ও

লো ফ্যাট হওয়ায় সহজে শরীতে শোষিত। পাবে। ডিইউএস এয় ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসম্বলিত ল্যাব টেনেন্ট প্রমাণিত হয় যে এটি সাধারণ পম থেকে ভিন্ন গুণসম্পন্ন। জিএইট গম। নানা তামাটে, চকচকে এবং তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যে পরিপক্ত হয়। আমন মৌসুমে ধান কাটার পর বীজ বপন করলে ৯৫ থেকে ১০০ দিনে উৎপাদন পাওয়া যায়, ফলে অল্প সময়ে অধিক ফলন পেয়ে কৃষকরা লাভবান হতে পাড়েন। গাছের আবার বড়, কায় মোটা ও অটির সংখ্যা বেশি হওয়ায় এটি থেকে অধিক পরিমাণ খড় যায়, ফলে গবাদি পশুর খাদ্য চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে। উৎবৃীমানের এ জাতের ফলন হেক্টর প্রতি স্বাভাবিক মাটিতে ৪.৫ টন এবং লবণাক্ত মাটিতে ৫.৭৫ টন ফলন পাওয়া সম্ভব যা একে অন্যান্য জামের গম থেকে বিশেষ স্থানে নিয়ে গিয়েছে। উন্নত এ ইনব্রেড জাতটি বিভিন্ন রোগ যেমন ব্লা ইতাদির রোগ প্রতিরোধক সম্পন্ন হবার কারণে সাধারণ জাতের তুলনায় এটি গড়ে ১০-১৫% বেশি ফলন দিতে সক্ষম যা বাংলাদেশের মতো কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে এর উপযোগিতা অনেক। আবার এটি লবণ সহনশীল হওয়ায় মানষ শরীরে গোডিয়াম ক্লোরাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কার্যকরাভাসে পানি ও পুষ্টি শোষণ করতে পারে। এছাড়া জলবায়ু সহনশীলতা ও রোগ-পোকা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাজায় এটি দেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশে চষের জন্য উপযোগী ও লাভজনক একটি জাত। সার্বিক বিষয়ে এ জাতের অন্যতম উদ্ভাবক প্রফেসর ড. মোঃ মসিউল ইসলাম বলেন, 'প্রিএইট গম ১' উদ্ভাবন আমাদের দীর্ঘদিনের গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মাঠ পর্যদের অভিজ্ঞতার জল। দেশের উপকূলীয়। লবণাক্ত এলাকায় ফসল উৎপাদনের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই আমরা এই গমের জাতটি উদ্ভাবনে কাজ শুরু করি। এই জাটি লবণাক্ত পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে এবং তুলনামূলকভাবে অধিক ফনান দেয় যা কৃষকের জন্য যেমন লাভজনক, তেমনি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ড. মসিউল আরো বলেন, "আমরা আশা করি, জিএইট গম ১ দ্রুত মাঠ পর্যায়ে বিস্তার লাভ করবে এবং দেশের বিহিন্ন লবণাক্ত অঞ্চলে গম ডায়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আমরা এ অর্জনকে বৃষরের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দেখছি।" অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অসামান্য অর্থনৈ সন্ত্রটি প্রকাশ নয় উপাচার্য প্রফেসর ড. জিদে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "নতুন জিএইউ গমের এ জাতের উদ্ভাবন এটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের কৃষি খাতের জন্য একটি বড় অর্জন। আমাদের দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও লবণাক্ত মাটিযুক্ত এলাকায় কৃষি উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে থাকে। সেই ডালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের গাসমতময় নিরলস পরিশ্রম কে একটি জাত উদ্ভাবন করেছেন, যা লবণাক্ত পরিবেশেড টিকে থাকতে পারে এবং অধিক জগদ দিতে সক্ষম।" নতুন এ জাডটিকে দেশের টেকসই কৃষির প্রতীক উল্লেখ করে উপাচার্য আরো বলেন, "এর মাধ্যমে কৃষকেরা আগের চেয়ে অধিক লাভবান হবেন এবং দেশের যাদা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথে আমরা আরেক এগিয়ে যাগে সময় তিনি এই উদ্ভাবনের পেছনে শ্রম দেখা গবেষণা দল, ল্যাগ এবং মাঠপর্যায়ের বিজ্ঞানীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কুতজ্ঞতা জামাদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়