প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০২৫, ০২:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীর পৌরসভায় ৩ যুগ পার হলেও সংস্কার হয়নি আড়াই কিলোমিটারের রাস্তা

জুনায়েদ কামাল - ব্যুরো চীফ

নোয়াখালীর পৌরসভা ও অশ্বদিয়া ইউনিয়নের রাস্তাগুলোর বেহাল দশা, খানাখন্দে আর ভাঙাচুরা রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নোয়াখালীর পৌরসভাধীন হরিনারায়নপুর ব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ দিকের পূর্ব মহোদুরী গ্রাম হয়ে পাথরঘাটা ব্রিজ পথের আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘ ৩০ বছর আগে পরাণ বাবু নির্মাণ করেন। তিন যুগ পার হলেও আজও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি আড়াই কিলোমিটারের এই রাস্তায়। খানাখন্দে আর কাদামাটির যেনো শেষ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে থাকে পানি জমে। বর্ষার মৌসুমে অযোগ্য হয়ে যায় রাস্তায় চলাচল। হরহামেশাই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ফলে রাস্তায় নামলেই পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগের। কষ্টের যেন শেষ নেই জনসাধারণের। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন না হওয়ায় পূর্ব মহোদুরী গ্রামে নেই কোনো মসজিদ কিংবা স্কুল মাদ্রাসা। ফলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে। খালগুলোতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বন্যা ও বর্ষার মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায় পুরো মহোদুরী গ্রাম। 

স্থানীয়দের দাবি, দিন যতই যাচ্ছে, ততই বাড়ছে রাস্তার খানাখন্দের পরিমাণ। সংস্কারহীন ভাঙাচুরা রাস্তায় প্রতিদিন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। যানচলাচলের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হাজার হাজার মানুষ। ভালো কোনো পরিবারে বিয়ে দিতে পারছেনা ছেলে মেয়েদের। পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের ধারে ধারে দৌড়েও কোনো লাভ হয়নি। রাস্তাটি নোয়াখালী পৌরসভা ও অশ্বদিয়া ইউনিয়নের বর্ডারে হওয়ায় দায়িত্ব নিচ্ছে না কোনো জনপ্রতিনিধিগণ। ফলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার।

স্থানীয় মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রাশেদ বলেন, গত এক যুগ আগে আমি মহোদুরী গ্রামে বসতঘর নির্মাণ করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছি। মহোদুরী গ্রামের অধিকাংশ মানুষ সাধারণ দিনমজুর হওয়ায় কোনো রকমে কাদামাটির রাস্তায় লুঙ্গি হাঁটুর উপর তুলে রাস্তায় চলাচল করেন। কাদামাটির রাস্তায় বাচ্চাদের কাঁধে নিয়ে দূরদুরান্তে স্কুল মাদ্রাসায় পড়ালেখা করান। রিকশা ভ্যানগাড়ি হরিনারায়নপুর বাজারে রেখে পায়ের জুতা হাতে নিয়ে পানি ও কাদামাটিতে হেঁটে বাড়িতে আসাযাওয়া করেন। আমি কয়েকবার নিজ অর্থায়নে সাধ্যমত মাটি ও ইটের গুড়ো দিয়ে কোনো রকম চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। 

এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তাটি পাকা করণ করা হলে স্বস্তি পাবে আশেপাশের দুচারটি গ্রামের মানুষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়