প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০২৫, ০৪:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিখোঁজের ১৭ ঘন্টা পর এক কিশোরীকে গ্রামীন ফোনের টাওয়ারের থেকে উদ্ধার।

জাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালীঃ

পটুয়াখালী দশমিনায় নিখোঁজের ১৭ ঘন্টাপর মোসাঃ সীমা বেগম (১৫) নামের এক কিশোরীকে গ্রামীন ফোনের টাওয়ার থেকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা।
রবিবার দুপুর ১২ টার দিকপ উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের ০১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।  উদ্ধার হওয়া মোসাঃ সীমা বেগম উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের মোঃ জাহঙ্গীর সন্যামত এর বড় মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোসঃ সীমা বেগম মানসিক ভারসম্যহীন। মাঝে মধ্যেই সে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায় । গত শনিবার সন্ধ্যার সময় সীমা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে যায়। বাব-মা ও আত্নীয়স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি কারে না পেয়ে রাত আনুমানি ৯ ঘটিাকর সময় মাইকিং করে হারানোর খবর প্রচার করেন। রবিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় জনৈক এক অটোরিকশা চালক বেতাগী বাজারের পশ্চিম পাশে গ্রামীন ফোনের টাওয়ারে চূড়ায় কাউকে দেখতে পায়।  তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয়দের জানালে তারা দশমিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে খবর দেয়। ও  ফায়ারসার্ভিস অফিসে ফোন করে। ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর সীমার বাবা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন তার মেয়ে বলে সনাক্ত করেন।পরে তার কাছে সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ারসার্ভিস এর সদস্যরা হস্তান্তর করেন।
সীমার বাবা মোঃ জাহাঙ্গীর সন্যামত  জানান তার মেয়ে সীমার সাথে জিনপরি আছে। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়, এর আগে মাদারগাছ ও বটগাছ থেকে বহুবার উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও এর আগে অনেকবার নিখোঁজ হয়েছে ৭-৮ দিন পর বাউফল ও গলাচিপা থেকে উদ্ধার করা হয়।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন,  আমাদের অফিস নাম্বারে রবিবার সকাল ১১.১৫ মিনিটের সময় ৯৯৯ এবং স্থানীয়রা ফোনকরে বিষয়টি জানালে আমরা ঘটনা স্থলে এসে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করি। বৃষ্টির কারনে আমাদের উদ্ধার কাজে সমস্যা হয়। প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পর ঐ কিশোরীকে উদ্ধার করি। উদ্ধার কাজে ঐ কিশোরীর চাচা মোঃ ইসরাক হোসেন এর সহযোগিতা নেই। আমাদের পোশাক দেখে ঐ কিশোরী গ্রামীন টাওয়ার থেকে লাফ দিতে তাই তার চাচাকে আগে পাঠাই পিছনে পিছনে আমাদের টিমের সদস্য উঠে। তার চাচা তাকে ধরার পর নিচে নেমে আসে। পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। ঐ কিশোরী এখন সুস্থ আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়