কাজী হাবিব উল্লাহ রানা, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ১৫টি গুচ্ছগ্রামে রেশন বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিতরণে নিম্নমানের চাল-গম বিতরণ সহ অতিরিক্ত ফি নেয়ার কথাও জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
অন্য দিকে গুচ্ছগ্রামের বাঙালি রেশন কার্ড হোল্ডারদের মাঝে নিম্নমানের চাল-গম বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাঙ্গালীদের সিদ্ধ চাল দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ জায়গায় দেয়া হচ্ছে আতপ চাল। উপজেলার বিভিন্ন রেশন এর চাল বিতরণের কেন্দ্র গুলো এই প্রতিনিধি পরিদর্শন করে লক্ষ করে, গুচ্ছগ্রামগুলোতে চলছে অনিয়ম, দুর্নীতি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রেশন বিতরণ। হতদরিদ্রদের ও গুচ্ছগ্রাম বাসীর রেশনের চাল বানিজ্যে মেতে উঠেছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী। তারা অগ্রিম টাকা দিয়ে সল্প মুল্যে চাউল ক্রয় করে সমতলে পাচার করছে সিন্ডিকেট চক্র।
মেরুং গুচ্ছগ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, দীঘিনালা গুচ্ছগ্রামের সাধারণ রেশন কার্ডধারীরা ব্যবসায়ীদের হাতে বন্ধী। অধিকাংশ রেশন কার্ডের চাল-গম তুলছেন ব্যবসায়ীরা। ট্যাগ অফিসার ও প্রজেক্টরগণ কার্ডের মূল মালিক ছাড়া ব্যবসায়ীদেরকে চাল-গম বিতরণ করছেন। এছাড়াও বহু কার্ডের চাল গুদামে জমা রেখেই বিতরণ দেখানো হয়েছে।
বোয়ালখালী ইউপির আরও একজন ভুক্তভোগী জানান, আমাদের সিদ্ধ চালের বদলে নিম্নমানের আতপ চাল ও গম দেয়া হচ্ছে। পরিমাণ কম দেয়া সহ টাকাও বেশি নিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এবং প্রজেক্ট চেয়ারম্যানরা মিলে এসব করতেছে।
এসব ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে আসল রহস্য মনে করছেন সচেতন মহল। সচেতন মহলের দাবি, প্রশাসনের তদারকির মাধ্যমে জনগনের পাওনা যেন জনগন পায় তার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সকলের সহযোগিতা ও সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি সচেতন মহলের।